Header Ads

বাঁকুড়ার রাইপুরে উদ্বোধন হলো বাংলার বৃহত্তম দুর্গা মন্দির


বাঁকুড়ার রাইপুরে নির্মিত হয়েছে মা মহামায়ার মন্দির। যার উচ্চতা ১০৮ ফুট। ৫.৫ হাজার বর্গফুটের বিশাল এই মন্দির যা তৈরি করতে ৬৫ মাস সময় লেগেছে। সুউচ্চ ও অপূর্ব কারুকার্য খচিত এই মন্দিরটি হয়ে উঠলো বাংলার বৃহত্তম মন্দির। এতোবড়ো দুর্গামন্দির বাংলাতে আর দুটো নেই বললেই চলে। মা মহামায়া মন্দির উদ্বোধনের পর বাঁকুড়ার পর্যটন শিল্পে যুক্ত হলো রাইপুরের নাম৷ সবুজ দ্বীপের পর রাইপুরে ভ্রমণের এখন নতুন ঠিকানা মা মহামায়ার মন্দির। 


বাংলার বৃহত্তম এই দুর্গা মন্দির দূর থেকে দেখলে চমকে যেতে হয়। এই মন্দিরের মূল আকর্ষণ হলো রাত্রিবেলা। চোখধাঁধানো আলোকসজ্জায় রাতের বেলায় মা মহামায়ার মন্দিরে অপরূপ শোভা ফুটে উঠছে। গত ২ রা এপ্রিল উদ্বোধন হলো মা মহামায়ার মন্দিরের। এদিন মন্দির দর্শনের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছিল। গোটা রাইপুর যেন জনসমুদ্র হয়ে উঠেছিল। সূদুর পূর্ব মেদিনীপুরের ডেবচা, দেওলিয়া ও কোলাঘাট থেকে এক লরি গাঁদার মালা এনে মন্দিরের গর্ভগৃহে সাজানো হয়। 

জনশ্রুতি অনুযায়ী, প্রায় ৪০০ বছরের কাছাকাছি এই আদ্যাশক্তি মহামায়া ইতিহাস খ্যাত। বিষ্ণুপুর মল্ল রাজবংশের এক যুবরাজ ধরম সিংহ বিষ্ণুপুর থেকে বিতাড়িত হয়ে রাইপুরের রাজা হয়ে বসেন। পরবর্তীকালে রাজা ধরম সিংহের পুত্র রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সিংহ আদ্যাশক্তি মা মহামায়ার স্বপ্নাদেশ পেয়ে রাইপুরের নিকটবর্তী চাঁন্দুডাঙ্গা গ্ৰামের এক প্রান্তরের ঘন জঙ্গলের মধ্যে মাটির নীচ থেকে মা মহামায়ার শিলামূর্তি উদ্ধার করে ছোট্ট একটি মন্দির নির্মাণ করে নিত্য পূজার সূচনা করেন। 


এই মন্দিরের ৪০০ বছরের ইতিহাসে বহুবার ভেঙ্গে গড়ে নির্মাণ করা হয়। এবার আরো একবার নতুন করে নির্মাণ করা হলো এই মন্দিরটির যা এখন বাংলার সবচেয়ে বড়ো দুর্গা মন্দির। যার ফলে নিদারুণ উচ্ছাসে ভাসছে রাইপুরবাসীরা।

মন্দিরের পরতে পরতে যে কারুকার্য তৈরি করা হয়েছে তা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হবে আপনি এক অন্য দুনিয়াতে প্রবেশ করেছেন। মন্দিরের ভেতরের কাজগুলো দেখলে চোখ ঘোরানো পর্যন্ত মুশকিল হয়ে পড়বে। বাঁকুড়ার রাইপুরের মতো এলাকায় এমন মন্দির একদিন নির্মিত হবে যা সত্যিই অকল্পনীয় ছিল। বাঁকুড়ার রাইপুরে বাংলার বৃহত্তম দুর্গা মন্দির উদ্বোধন হওয়ার খবর গোটা বাংলা জানেনা। এই খবরটি শেয়ার করে গোটা বাংলার মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিন যাতে গোটা বাংলার মানুষজন রাইপুরে এই মন্দিরটি দর্শন করতে আসেন।  

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments