'আবোল তাবোল'-এর শতবর্ষ বাঙালিকে স্মরণ করাবে 'হাতিবাগান নবীন পল্লী'র পুজো
বাঙালি ক্রমশ নিজের সংস্কৃতি ভুলে যেতে বসেছে। নতুন প্রজন্ম সুকুমার রায়কে কতটা মনে রাখবে এই প্রশ্নটা এখন বেশি করে উঠে আসছে। মাসখানেক আগে বাংলার হাসির রাজা সুকুমার রায়ের অসাধারণ সৃষ্টি 'আবোল তাবোল' শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। কিন্তু সেকথা আমরা কজন বাঙালিই জানি। আবোল তাবোলের শতবর্ষকে ঘিরে বাঙালির মধ্যে কোনো উন্মাদনাই লক্ষ্য করা যায়নি। গণমাধ্যমেও সে নিয়ে কোনো বাঙালির পোস্ট নেই। এই আবোল তাবোলের শতবর্ষ বাঙালিকে স্মরণ করানোর দায়িত্ব নিল 'হাতিবাগান নবীনপল্লী'।
কীভাবে আবোল তাবোলের শতবর্ষ বাঙালিকে মনে করাবে হাতিবাগান নবীনপল্লী? জানতে হলে আপনাকে আসতে হবে হাতিবাগান নবীনপল্লীর দুর্গাপুজোতে। এই কমিটির পুজো এবার হয়ে উঠতে চলেছে সুকুমার ময়। হাতিবাগান নবীনপল্লীর এ বছরের পুজোর থিম '১০০ তে আবোল তাবোল'। হাঁসজারু, কুমড়ো পটাশের মতো চরিত্রের ভিড়ে সেজে উঠেছে মণ্ডপের দেওয়াল। শিল্পী অনির্বাণ দাসের ভাবনায় নির্মিত হয়েছে মণ্ডপ। শিল্পীর কল্পনায় মণ্ডপটিকে গড়ে তোলা হয়েছে সুকুমার রায়ের একক সাম্রাজ্য হিসেবে। যে সাম্রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি ও তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলো।
কচিকাঁচা থেকে যুবক-যুবতী, আশি-নব্বই সব বয়সের মানুষদের চোখ আটকে পড়বে হাতিবাগান নবীনপল্লীর অভিনব এই থিমের পুজোতে। এই পুজোর মধ্য দিয়ে সকল বাঙালি জানতে পারবেন যে সুকুমার রায়ের আবোল তাবোল শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। নতুন প্রজন্মের কচিকাঁচারা এই মণ্ডপের মাধ্যমে পরিচিত হবে আবোল তাবোলের সাথে।
ঐতিহ্যের উৎসবে উত্তরের ঐতিহ্য হলো হাতিবাগান নবীনপল্লী। উত্তর কলকাতার অন্যতম প্রাণের পুজোর মধ্যে একটি হলো হাতিবাগান নবীনপল্লী। নিজেদের পুজোর ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রতি বছরই থিমের জোয়ারে মাত করে এই পুজো। হাতিবাগান নবীনপল্লীর এই পুজো এ বছর শহরবাসীর মন জয় করে নেবে। হাতিবাগান নবীনপল্লীর চলতি বছরের দুর্গাপুজোকে আবোল তাবোলের শতবর্ষ উদযাপন বললেও মন্দ হবে না।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment