মেঘালয়ের মাধ্যমিকে প্রথম ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন বাঙালি
বাঙালি বারবার বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফল করে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাঙালি বরাবর তার যোগ্যতা প্রমাণ করেছে। প্রতি বছরই আইআইটি, আইআইএম থেকে আইএসআই বা বিদেশের কেমব্রিজ থেকে ম্যাসাচুয়েটস এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বাঙালি তার যোগ্যতা প্রমাণ করেনি।
মেঘালয়ে বাঙালির সংখ্যা নগণ্য বললেই চলে। শিলং বা তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বাঙালি ব্যবসায়ীদের আধিক্য রয়েছে। যদিও বর্তমানে বাঙালি ব্যবসায়ীরা একাধিক ক্ষেত্রেই হুমকির স্বীকার হচ্ছেন। মাঝে মধ্যেই ওখানে ভূমিপুত্র হবার পরেও বাঙালি অত্যাচারিত হচ্ছে।
মেঘালয়ের মতো মিজোরাম, অসম, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশেও বাঙালি বিদ্বেষের বিষ ঢোকানো হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্বারা।
উল্লেখ্য মেঘালয় রাজ্যের নামকরণটিও বাঙালির করা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মেঘালয় মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সমৃদ্ধা দাস, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন জ্যোতিপ্রিয় ভট্টাচার্য, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন তনুশ্রী আচার্য, চতুর্থ স্থানে রয়েছেন রীতম দীপ চৌধুরী, ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছেন সংস্কৃতা কর্মকার এবং দ্বাদশ স্থান অর্জন করেছেন সৌর কুমার রায়।
এ বছর মেঘালয় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৫০,০০০ ছাত্রছাত্রী। মেঘালয়ে বাঙালিদের এই ফলাফল যথেষ্ট গর্বের। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, বরাকবঙ্গে এই খবর হয়তো পৌঁছায়নি। বৃহৎ বঙ্গের বাঙালি ঐক্য না থাকায় এই খবর আপামর বাঙালির কাছে পৌঁছায়নি। যদিও এই ফলাফল বাঙালির জন্য একটি গর্বের বিষয়।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment