যুক্তরাজ্যের টিভি চ্যানেলে এবার সম্প্রচার হতে চলেছে প্রসূন চ্যাটার্জির 'দোস্তজী'
চ্যানেল ফোর একটি যুক্তরাজ্যভিত্তিক পাবলিক সার্ভিস টেলিভিশন প্রচার কোম্পানি। ১৯৮২ সালের ২ রা নভেম্বর এই চ্যানেলের পথচলা শুরু হয়। অর্থনৈতিক ভাবে এটি একটি স্বাধীন, তদুপরি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এই টেলিভিশন চ্যানেলটি মূলত চ্যানেল ফোর টেলিভিশন কর্পোরেশনের মালিকানাধীন। ১৯৯৩ সালে এই চ্যানেলটির সম্প্রচার আরম্ভ হয়।
এই চ্যানেল ফোরে এবার সম্প্রচার হতে চলেছে প্রসূন চ্যাটার্জি পরিচালিত জনপ্রিয় বাংলা ছবি 'দোস্তজী'। ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডে সম্প্রচারের জন্য চ্যানেল ফোর 'দোস্তজী'র স্ট্রিমিং স্বত্ব অধিগ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশের বর্ডারের কাছে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পলাশ ও সফিকুলকে ঘিরেই 'দোস্তজী' ছবির মূল গল্প। দুই বন্ধুর একজন হিন্দু ও আরেকজন মুসলিম। দুই ক্ষুদে বন্ধুর আড়ি-ভাব, মান-অভিমান, খুনসুটি এবং নীরব ভালোবাসা সবটাই ফুটে উঠেছে পর্দায়। এই ছবির প্রেক্ষাপট বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও মুম্বাই বিস্ফোরণের পরবর্তী সময়।
'দোস্তজী'কে ১৮ মাসের মধ্যে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডে চারবার সম্প্রচারের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে সত্যজিৎ রায়ের 'মহানগর' ও 'চারুলতা' চ্যানেল ফোরের বার্ষিক ভারতীয় চলচ্চিত্র মৌসুমের অংশ ছিল যেখানে সেরা সমসাময়িক এবং ক্লাসিক ভারতীয় সিনেমার একটি ক্রস-সেকশন ছিল।
'দোস্তজী' ছবিটি একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানিত হয়েছে। এমনকি বক্স অফিসেও সাড়া জাগিয়েছে এই ছবি। মুক্তির নয় সপ্তাহ পরেও এই ছবিটি বিভিন্ন সিনেমাহলে রমরমিয়ে চলছে। ইংল্যান্ডের টিভি চ্যানেলে 'দোস্তজী'র সম্প্রচারের প্রসঙ্গে পরিচালক প্রসূন চ্যাটার্জি এক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে জানান, "বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এটি একটি বিরল সম্মান। ২০২১ এর লাইন আপে সত্যজিৎ রায়ের মাত্র দুটি বাংলা ছবি ছিল। একজন নবাগত পরিচালকের জন্য, তার চলচ্চিত্রকে এত মর্যাদাপূর্ণ নেটওয়ার্ক দ্বারা বাছাই করার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আর কিছুই হতে পারে না। এই ধরনের ব্যবসায়িক অধিগ্রহণ শুধু আমার চলচ্চিত্রের জন্যই নয়, সমসাময়িক বাংলা চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সম্মান।"
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment