Header Ads

ইকোপার্কে জমজমাট হস্তশিল্প মেলা, বিক্রিবাটা ছাড়াবে ১০০ কোটি


বাংলাতে এখন উত্তুরে হাওয়া বইছে। ধীরে ধীরে কনকনে শীতের দিকে এগোচ্ছি আমরা। এই শীত আসার আগেই কলকাতার নিউটাউনে জমিয়ে চলে হস্তশিল্প মেলা। যেখানে বাংলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্ভার দেখা যায়। এ রাজ্যের প্রতিটি জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্ম নিয়ে হস্তশিল্প মেলাতে নানান স্টল দিয়ে থাকেন। 


হস্তশিল্প মেলার ফলে সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। বাংলার রাজধানীর সঙ্গে পরিচিতি ঘটছে বিভিন্ন জেলার হস্তশিল্পের। এই মেলাকে ঘিরে কলকাতাবাসীদের উৎসাহ অন্য রকমের। নিউটাউনের হস্তশিল্প মেলার জন্য বহু মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন সারা বছর। বাড়িতে সাজানোর রকমারি পসরা, আসবাবপত্র ও বাড়িতে ব্যবহৃত নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী কলকাতার বাঙালিরা জমিয়ে কেনাকাটা করে এই মেলাতে।

গত ২৫ শে নভেম্বর থেকে নিউটাউনের ইকো পার্কে শুরু হয়েছে হস্তশিল্প মেলা। যা চলবে ১৮ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দপ্তরের পরিচালনায় এখন প্রতি বছর আয়োজিত হচ্ছে হস্তশিল্প মেলা। কেবল নিউটাউনই নয়, এখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে হস্তশিল্প মেলা। এই মেলার মাধ্যমে বাংলার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে জোয়ার আসছে। বহু মানুষ স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে হস্তশিল্প মেলার মাধ্যমে।

দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর নিউটাউন হস্তশিল্প মেলাতে বিক্রিবাটার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০ কোটি টাকা। এ বছর সংখ্যাটা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। গত সোমবার পর্যন্ত নিউটাউন হস্তশিল্প মেলাতে ১৬ কোটি টাকার জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন নিউটাউনের হস্তশিল্প মেলা জমজমাট। প্রতিদিন বিকেলের পর থেকেই ইকোপার্কে হস্তশিল্প মেলাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামছে। 

বেশিরভাগ বিক্রেতারা এই বছর কিউআর কোড সিস্টেমের ব্যবস্থা রেখেছে। ফলত খুচরোর সমস্যা এ বছর মেলাতে একেবারেই নেই। মেলাতে ক্রেতাদের জন্য অস্থায়ী এটিএম কাউন্টার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের পাঁচটি কাউন্টার রাখা হয়েছে। প্রতিটি পণ্যের ওপর বিক্রেতারা এ বছর কিউআর কোড লাগিয়ে রেখেছেন। যেখানে স্ক্যান করে সহজেই পেমেন্ট করা যাচ্ছে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments