Header Ads

আফ্রিকার জনজীবনে প্রবেশ করতে চান? আসুন সঞ্জয়পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসবের মণ্ডপে


বাঙালির সঙ্গে বিশেষ করে বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে আফ্রিকার এক নিবিড় যোগ রয়েছে। 'চাঁদের পাহাড়', 'ভয়ঙ্কর সুন্দর', 'জঙ্গলের মধ্যে একটি হোটেলে'র মতো নানান বাংলা উপন্যাসে আফ্রিকার পরিচয় পাওয়া যায়। পৃথিবীর নানান প্রান্তে নানান আশ্চর্য লক্ষ্য করা যায়, তার মধ্যে আফ্রিকা এক অন্য আশ্চর্য। আফ্রিকার কথা বললেই সবার স্মরণে আসে আফ্রিকার গহীণ অরণ্যের কথা। তবে আফ্রিকার বৈচিত্র্য কেবল অরণ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, আফ্রিকার আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, তাদের দল বেঁধে শিকার, উৎসব ও নৃত্য মিলিয়ে আলাদা আলাদা বৈচিত্র্য রয়েছে।  


এই আফ্রিকা এবার থিম হিসেবে উঠে আসছে সঞ্জয়পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং-এর অন্যতম পুজোগুলির মধ্যে একটি হলো সঞ্জয়পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব। এ বছর তাদের পুজো ৩৩ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। তাদের এবারের ভাবনা 'আফ্রিকার জনজীবন'। 

পাহাড়ি বাঁশ, ইলেকট্রিকের পাইপ, টেরাকোটার জলতরঙ্গ, গাছের ডাল ও পালক প্রভৃতি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ। আফ্রিকার আদিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের বিভিন্ন বিষয়, তাদের দল বেঁধে শিকার করা, উৎসব ও নৃত্যের দৃশ্য তুলে ধরা হবে মণ্ডপের গায়ে। সম্পূর্ণ মণ্ডপটিতে থাকছে অসংখ্য আফ্রিকার আদিবাসীদের মডেল যারা বর্শা হাতে দাঁড়িয়ে মণ্ডপটি পাহারা দেবে।

মণ্ডপের মধ্যে প্রবেশ করলে মনে হবে আমরা আফ্রিকার জনজীবনে ঢুকে পড়েছি। চোখের সামনে যেন আফ্রিকা দেখছি। শিল্পীরা রাতদিন পরিশ্রম করে এখানকার মণ্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণ করছেন। হাতে গোণা আর কয়েকটা দিন, তাই ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। চেনা মেজাজে অচেনা থিমের মিছিলে মানুষের আনন্দ হরণ করতে প্রস্তুত সঞ্জয়পল্লী সর্বজনীন দুর্গোৎসব। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments