Header Ads

হেরিটেজ দুর্গাপুজোর প্রধান কাণ্ডারী হলেন তপতী গুহ ঠাকুরতা


কদিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক তরজা চলছিল দুর্গাপুজোর হেরিটেজ স্বীকৃতির প্রধান কাণ্ডারী কে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাসছে৷ একটা নাম এখন বাংলার আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। তপতী গুহ ঠাকুরতা, ইনিই হলেন হেরিটেজ দুর্গাপুজোর প্রধান কাণ্ডারী। দুর্গাপুজো নিয়ে বহুবছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গবেষণা করেছেন তিনি। একজন সচেতন বাঙালি হিসেবে তিনি বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্যকে বিশ্বজুড়ে প্রচারের কাজ করে চলেছেন অনায়াসে। গত ২ রা সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁর কৃতিত্বকে সম্মান জানিয়েছে। 


এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দুর্গাপুজো নিয়ে কাজ করছেন কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের অধিকর্তা তপতী গুহ ঠাকুরতা। ২০১৫ সালে দুর্গাপুজো নিয়ে প্রকাশিত হয় তাঁর লেখা বই "ইন দ্য নেম অফ দ্য গডনেস : দ্য দুর্গা পূজাস অফ কনটেম্পোরারি কলকাতা"। বাঙালির দুর্গাপুজো যাতে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি পায়, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

কলকাতার বিভিন্ন ক্লাব ও উদ্যোক্তাদের সহায়তায় তিনি কলকাতার দুর্গাপুজো নিয়ে নানান গবেষণা শুরু করেন। সেই গবেষণার ভিত্তিতে লেখা তাঁর "ইন দ্য নেম অফ দ্য গডনেস : দ্য দুর্গা পূজাস অফ কনটেম্পোরারি কলকাতা" বইটি নজরে আসে গোটা বিশ্বের মানুষের চোখে। এককথায় বলতে গেলে এই বইটির জন্যই "কলকাতার দুর্গাপুজো" হেরিটেজ স্বীকৃতি আদায় করেছে। এই বইটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হওয়ার পর তিনি দুর্গাপুজোকে যাতে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে খসড়া ডসিয়ার তৈরি করেছিলেন৷ তিনি ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে কাজ শুরু করেন। ২০১৯ সালের মার্চে সেই ডসিয়ার জমা দিয়েছিলেন। তাতে দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের মন্তব্য তুলে ধরেছিলেন। ২০২১ সালে দীর্ঘ পরিশ্রমের পর বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো আদায় করে নেয় "হেরিটেজ" স্বীকৃতি। যা বাংলা ও বাঙালির আরেকটি বিশ্বজয়। 

তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "যে ফ্যাক্টরের উপর ভিত্তি করে ইউনেস্কো এ ধরনের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে, তার সবকটাই দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমার গবেষণায় আমি দেখিয়েছি, কীভাবে এই উৎসব ধর্মের ঊর্দ্ধে উঠে সকলের উৎসব হয়ে উঠেছে। বড় একটা ডসিয়ার আমি দিয়েছিলাম। আপনারা ওয়েবসাইটে গিয়ে সেই ডসিয়ারটি দেখতে পারেন। ইউনেস্কো সব দেখে মেনে নিয়েছে যে এটি একটি সামাজিক সাংস্কৃতিক উৎসব।"

তিনি হেরিটেজ দুর্গাপুজোর প্রধান কাণ্ডারী হলেও তিনি মনে করেন, "দুর্গাপুজোর এই স্বীকৃতি কারও একার নয়। সম্মিলিত কাজ এটি। আমার উপর একটা দায়িত্ব পড়েছিল। একা আমার কাজ নয়। পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছেন। এই কাজটা করতে পেরে আমি গর্বিত।" 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments