১০০০ অঙ্কের সংখ্যা একবার দেখেই বলে দিতে পারেন বঙ্গসন্তান সুভাষচন্দ্র বেতাল
মনুষ্য কম্পিউটার শকুন্তলা দেবীর কথা আমরা সবাই শুনেছি। বাংলাতেও রয়েছেন এমন একজন শিক্ষক যিনি মাইন্ড ম্যাপিং শেখান। পর পর ১০০ টি ফোন নাম্বার দিলেও তা একবার শুনে কিছু পরেই সব বলে দিতে পারেন পর পর। যার ৫ মিনিটের মধ্যে ৩১ টি নাম্বারের কিউবের উত্তর উল্টোভাবে (যেমন ধরুন একটি মোবাইল নাম্বার ১২১৩২০২১৩৪ এটি উল্টো দিক থেকে হবে ৪৩১২০২৩১২১ ঠিক এরকম) বলে গড়েছেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস।
উনি সকলের কাছে সেভাবে পরিচিত নন কিন্তু ওনার মনে রাখার পদ্ধতি যেকোনো মানুষকে অবাক করবে। ওনার নাম সুভাষ চন্দ্র বেতাল। উনি মনে রাখার পদ্ধতি শেখানোর জন্য বারুইপুরে খুলেছেন নিজের একটা ছোট্ট ইনস্টিটিউট। যেখানে অন্যতম শ্লোগান ব্যবহৃত হয়েছে 'আজ থেকে ভুলে যাওয়া ভুলে যান'।
বাংলার মানুষ্য কম্পিউটার বলা যেতে পারে হুগলির সুভাষচন্দ্র বেতালবাবুকে। সেভাবে তিনি না প্রচারিত হলেও কিছু মিডিয়া ওনার ভিডিও বানিয়েছেন, ছোটো ছোটো প্রতিবেদন করেছেন। আমরা বাঙালিরা বুদ্ধিতে বার বার সেরা প্রমাণ করেছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের এত বুদ্ধিদীপ্ততা দেখানোর পরও অনেকের মন্তব্য বাঙালিদের নাকি বুদ্ধি কম অন্য জাতির চেয়ে।
প্রতি বছর সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরষ্কার পাচ্ছে বাঙালি। নোবেলজয়ী হচ্ছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল নির্বাচনের দায়িত্ব পাচ্ছেন, মঙ্গল অভিযানের দায়িত্ব সামলেছেন বাঙালি তবু হীনমন্যতা বাঙালিকে কুরে কুরে খায়।
আমাদের শহরে, গ্রামে মেধায় পরিপূর্ণ কিন্তু অভাগা বাঙালি নিজেদের মার্কেটিং নিজে করে না। পরিবর্তে নিজেদের নিন্দা করে। এর পরিবর্তন হলে আজ সুভাষচন্দ্র বেতালের মতো মানুষরা আজ সেলিব্রেটি হতেন। তিনি বাংলার গর্ব, বাঙালির গর্ব। আমাদের আশা ওনার খ্যাতি একদিন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment