Header Ads

ঐতিহ্যের চুমুক দিতে প্রস্তুত গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনী


সাবেকিয়ানা ও আধুনিকতার মেলবন্ধনে কলকাতার বুকে যে দুর্গাপুজোগুলি হয়ে থাকে, তাদের মধ্যে অন্যতম পুজো হলো "গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনী"। দেখতে দেখতে ১৭ তম বর্ষে পদার্পণ করলো এই ক্লাবের পুজো। এক দশক ধরে জেলার সেরা পুজোর স্বীকৃতি অর্জন করে আসছে তারা। এ বছর 'গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনী'র পুজোর বিশেষত্ব হলো এই ক্লাবের ছোটো সদস্যরা কোনো পেশাদার শিল্পীর সাহায্য ছাড়াই মণ্ডপের সাজসজ্জা এবং পুরো কাজটি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। 


গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনী'র প্রতিমায় থাকে সাবেকিয়ানা এবং মণ্ডপের থিমে থাকে সামান্য আধুনিকতার ছোঁয়া। এ বছর তাদের পুজোর থিম "ঐতিহ্যের চুমুক"। বিদিশা রায় ও ক্লাবের অন্যান্য ছোট সদস্যদের নিজস্ব ভাবনায় গড়ে উঠছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর মণ্ডপ। বিভিন্ন রঙের কাগজের কাপ ব্যবহার করা হচ্ছে মণ্ডপ সাজানোর জন্য। এছাড়াও নানান কারুকার্য দিয়ে সম্পূর্ণ মণ্ডপ ঢেকে ফেলা হবে। 

প্রতি বছরের মতো চলতি বছরেও তাদের ঐতিহ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। পরিবেশ সচেতনতার কথা মাথায় রেখে তারা চেষ্টা করছেন প্লাস্টিক ও থার্মোকলকে পুরোপুরি ভাবে বাদ দেওয়ার। কোভিড প্রোটোকলগুলি মেনে তারা এ বছরও পুজোর আয়োজন করছেন। মণ্ডপের সাথে তারা মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক হিসেবে রাখছেন। 

ক্লাবের ছোট সদস্যরা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন। তাদের কাছে এখন একটাই লক্ষ্য দর্শনার্থীদের মধ্যে বিস্ময় তৈরি করা৷ মণ্ডপ ও প্রতিমা দুই-ই সাধারণ মানুষকে অনাবিল আনন্দ দান করবে৷ শিল্পী পল্টু পালের হাতের জাদুতে নির্মিত হচ্ছে দেবী দুর্গার প্রতিমা। ভোলনাথ ডেকোরেটার্সের তত্ত্বাবধানে বানানো হচ্ছে মণ্ডপের পরিকাঠামো। ভোলা মণ্ডলের আলোকসজ্জা এবং জয়দীপ চঙদেরের আবহে গমগম করবে মণ্ডপের ভেতর ও বাহির, চারপাশ। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে 


No comments