পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞাপন ও আলিপুরদুয়ারের রানা দাসের বেঁচে থাকার লড়াই
কোনো কাজ-ই ছোটো নয়। অর্থের বিচারে কাজকে ছোটো বা বড় করে দেখা আমাদের সমাজের এক ব্যাধি। শিক্ষকতা হোক বা হকারি বা ক্ষৌরকর্ম বা মাটি কাটা বা জেসিবি চালনা করা বা আইটি কর্মীদের কাজ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কিছু না কিছু দক্ষতা প্রয়োজন। সমাজে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের মতো এক ভাবেই ঝাড়ুদার, রাজমিস্ত্রি, কর্মকার সকলেরই প্রয়োজন। সমাজের কর্মচক্র সকল প্রকার কর্মের সমন্বয়ে চালিত হয়।
আলিপুরদুয়ারের উত্তর মাঝেরডাবরীর রানা দাসের বেঁচে থাকার লড়াই আমাদের সকলের কাছেই অনুপ্রেরণার। ছোটোবেলায় রানা দাসের গলায় অপারেশন হয় ও নল বসানো হয় যে কারণে ভারী কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় ওনার কাছে। বিশেষ ভাবে সমর্থ্য রানা দাসের জীবনে কঠিন সময় নেমে আসে। কিন্তু তিনি আর পাঁচ জনের মতো থেমে থাকেননি। জীবন সংগ্রামে তিনি বেছে নেন বিয়ে বাড়ির খাবার শেষে টেবিল পরিস্কারের কাজ।
আমরা বিয়ে বাড়ির খাবার-দাবার, সাজসজ্জা, বন্ধু-বান্ধবদের মনে রাখলেও টেবিল পরিস্কার করা মানুষটির কথা হয়তো কেউ মনে রাখিনা। কিন্তু এই মানুষগুলো না থাকলে কি আমাদের খাওয়া-দাওয়া তৃপ্তির সাথে সম্পন্ন হতো? এই কাজগুলোও আমাদের জীবনের অঙ্গ।
রানা দাস এই কাজটির মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন বাঁচার রসদ। এই কাজকে তিনি আর পাঁচটা বানিজ্যিক বিজ্ঞাপনের মতোই তিনি ব্যানার বানিয়ে প্রচার করছেন। ওনার এই কাজের প্রচার রীতিমতো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সামাজিক মাধ্যমে তিনি প্রশংসিতও হয়েছেন। এই মানুষটির কাজ আমাদের সকলের কাছেই একটি অনুপ্রেরণা।
আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রতিটি কাজকে সম্মান করা। কারণ কোনো কাজ অবজ্ঞার নয়। আমাদের সমাজে এরকম রানা দাস ছড়িয়ে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। ওনারাও মানুষ, ওনারাও আমাদের সমাজের অঙ্গ।
প্রতিবেদন- অমিত দে
Post a Comment