স্কেটিং করে কলকাতা থেকে নেপাল পাড়ি দিয়ে বিশ্বরেকর্ড বাঙালি যুবকের
বাঙালি পারে বটে! সুউচ্চ হিমালয় হোক বা আন্দিজ, সাহারা হোক বা ভিনসেন্ট মাসিফ; বাঙালি সর্বত্র অভিযান করে। অভিযানের নেশা যেন বাঙালির রক্তে। সম্প্রতি শ্যামনগর কাউগাছি চন্ডীতলার বাসিন্দা দীপঙ্কর দে স্কেটিং করে কলকাতা থেকে নেপাল পৌঁছে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন। সত্যিই এক দুঃসাহসিক অভিযানে সামিল হলেন তিনি। তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য স্কেটিং করে শ্যামনগর থেকে ভুটান, কলকাতা থেকে বাংলাদেশ, শ্যামনগর থেকে সিকিম এবং কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাওয়া।
স্বপ্ন মানুষ বিভিন্ন রকম দেখেন৷ কেউ চান চলচ্চিত্র তারকা হতে, কেউ চান ডাক্তার হতে, কেউ চান বিজ্ঞানী হতে, কেউ চান ফুটবলার হতে। কিন্তু দীপঙ্কর দে স্বপ্ন অন্য ভাবে দেখেন। একের পর এক বিশ্বরেকর্ড করে জীবন উপভোগ করা তাঁর জীবনের প্রধান লক্ষ্য। যে লক্ষ্যে তিনি সর্বদা অবিচল। তাই তো বৈশাখের কাঠফাটা অস্বস্তিকর গরমেও স্কেটিং করে কলকাতা থেকে নেপাল পাড়ি দিলেন৷ গত ২৯ শে এপ্রিল নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু পৌঁছান তিনি।
দীপঙ্করবাবু পেশায় একজন ক্যারাটে প্রশিক্ষক। লকডাউনের কারণে টানা দু'বছর ক্যারাটে প্রশিক্ষণ বন্ধ ছিল। এই দুটো বছরে অযথা সময় অপচয় না করে তিনি দক্ষতার সঙ্গে স্কেটিং রপ্ত করে ফেলেন৷ দীপঙ্কর দে'র বয়স ৪৭ বছর৷ তাঁর বাবা দুলালচন্দ্র দে একজন প্রাক্তন সেনাকর্মী এবং মা কল্পনা দে গৃহবধূ। গত ২২ শে এপ্রিল সকালে দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণীর মন্দিরের কাছ থেকে সকাল ৫ টা বেজে ৪৫ মিনিটে রওনা দিয়ে ২৯ শে এপ্রিল দুপুর ১২ টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ নেপালের কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছে পৌঁছান তিনি। স্কেটিং-এর মাধ্যমে কলকাতা থেকে নেপাল পাড়ি দেওয়ার জন্য তাঁর নাম উঠে এসেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড বুক অফ রেকর্ডসে। এখন গিনেস বুকে নাম তোলার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন তিনি।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে মাত্র আড়াই দিনে স্কেটিং করে তিনি শ্যামনগর থেকে পুরীর জগন্নাথ মন্দির পৌঁছেছিলেন। আর এবার নেপাল। ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে ভারতের রাষ্ট্রীয় পতাকা হাতে কাঠমান্ডু পাড়ি দেন তিনি। তাঁর দাবি, "ছয়দিনে নেপাল পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়েই আমি রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের রাস্তাঘাট খারাপের জন্য দুদিন সময় বেশি লেগে গেল।"
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment