Header Ads

ধ্বংসের মুখে বাংলার গর্বের প্রতিষ্ঠান উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা


বাংলার গর্বের প্রতিষ্ঠানগুলির অন্যতম 'উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা'। খুব সম্ভবত কোচবিহারের রাজাদের উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল এই প্রতিষ্ঠান। এরপর ১৯৪৯ সালে কোচবিহারের বঙ্গ তথা ভারতভুক্তির সাথে‌ই সম্ভবত এ‌ই সংস্থা বঙ্গ সরকারের পরিচালনায় আসে। এ‌ই সংস্থা বিপুল জমি ও স্থাবর সম্পত্তির মালিক। একসময় দাপটের সঙ্গে সারা বাংলা জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছে এদের বিশালাকৃতি বাসগুলি। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক ঘুন পোকা ধীরে ধীরে এ‌ই সংস্থার আয়ু দ্রুত কমিয়ে এনেছে। বর্তমানে কঙ্কালসার বাস, ডিপো ও ভয়াবহ যাত্রী পরিষেবা--- বলা যায় মৃত্যু পরোয়ানায় স‌ই হয়ে গেছে। 


কিন্তু এখনও একে বাঁচানোর রাস্তা খোলা আছে। দরকার আধুনিক ব্যবস্থাপনা। তাহলে এ‌ই সংস্থা অচিরেই আন্তর্জাতিক মানের বাস পরিষেবা প্রদানে সক্ষম হয়ে উঠবে। সরকার কি এ‌ই প্রতিষ্ঠানটির দিকে তাকাবেন না?

বর্তমানে উদাসীনতা, অকর্মণ্যতা, অবহেলার চরম নিদর্শন এই সংস্থার যে কোনো ডিপোতে গেলেই, যে কোনো বাসে চাপলেই এ‌ই সংস্থার কর্মীদের অযোগ্যতা আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করবেই করবে। ১. বিভৎস রকমের নোংরা আবর্জনার স্তুপে ভর্তি এ‌ই ডিপোগুলি কোনোদিন পরিষ্কার হয় কিনা জানা নেই। ২. এখানে যে টাইমটেবিল রয়েছে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অকেজো। কাউন্টারে জিজ্ঞেস করেও কোনো সঠিক টাইমটেবিল অন্তত বহরমপুর ডিপোতে পাওয়া যায় না। ৩. যাত্রীদের বসার জন্য কোনো ভদ্রস্থ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। একসময় তেনজিং নোরগে টার্মিনাসে বসা বিশ্রাম নেওয়া ও স্নানের সুব্যবস্থা ছিল, এখন তা কেমন কে জানে। ৪. টয়লেট বলে যে জায়গা তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগম্য। ৫. কর্মীদের ব্যবহার আধুনিক মানসম্মত নয়। ৬. বাসগুলির কথা যত কম বলা যায় তত ভালো। অথচ একদিন এ‌দের 'রকেট সার্ভিস' রীতিমত রোমাঞ্চকর ছিল, এখন ভয়ঙ্কর। রঙচটা, ঝনঝনে বাস, চুন দিয়ে নোংরা ভাবে লেখা থাকে রুটের নাম। এক কথায় জঘন্য।

সবাই একটু মুখ খুলুন। সরকারের কানে কথাটা পৌছলে কাজ হবে এ বিশ্বাস আমাদের আছে। কিন্তু শীর্ষ মহলে এ সংবাদ পৌঁছে দেওয়া দরকার।

প্রতিবেদন- অরিন্দম চন্দ্র


No comments