Header Ads

ড. দীপঙ্কর মজুমদারের হাত ধরে তৈরি হচ্ছে আইআইকে নামক একটি গবেষণা কেন্দ্র


ড. দীপঙ্কর মজুমদার যিনি একবুক স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসেন। হৃদয়ের মধ্যে পুষে রাখা তাঁর এক গভীর স্বপ্ন আজকে বাস্তবায়নের পথে। তাঁর হাত ধরে তৈরি হচ্ছে Institute for the Integration of Knowledge (IIK) নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাঁর জীবনের অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল এই প্রতিষ্ঠান গড়ার। তিনি চেয়েছিলেন মানুষের কাজে লাগবে এমন যে-কোনো বিষয় নিয়ে অ্যাকাডেমিক ও নন অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান যেখানে যে কোনো ধরণের চর্চার সুযোগ থাকবে।
 

বাঁকুড়া জেলার বিহারীনাথ  মন্দির থেকে চার কিমি দূরে পাহাড়ের মাঝে অনেকটা জঙ্গলঘেরা জায়গা বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের গোঁসাইডিহি গ্রামে একটু একটু করে গড়ে উঠবে সেই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। অক্ষর পরিচয় করানো হবে তার অন‍্যতম কাজ। প্রতিষ্ঠা হবে অক্ষরস্থান।

গত ১৮ ই মার্চ, শুক্রবার দোলের দিন আইআইকে গোঁসাইডিহি গ্রামে তাদের প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। বসন্তের কোকিলডাকা পাতাঝরা ঝলমলে সকালে স্থানীয় শিল্পীদের কীর্তন, বাউল, রবীন্দ্র ও নজরুল নৃত‍্য সহযোগে গ্রাম পরিক্রমা করা হয়। 

গোঁসাইডিহি গ্রামে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রুট রয়েছে। যেমন বাসে রাণীগঞ্জ বাজার থেকে প্রথমে মেজিয়া ব্রিজ তারপর ষোলো কিমি শালতোড়ার রাস্তায় যাওয়ার পর রঞ্জিতপুর মোড়। সেখান থেকে পাকা রাস্তা ধরে ডাইনে এক কিমি গেলেই গোঁসাইডিহি গ্রাম। কিংবা বার্ণপুর লামেয়ার পার্ক থেকে সাত কিমি, নদী অস্থায়ী ব্রিজ দিয়ে পেরোতে হবে ঈশ্বরদা ঘাটে, বা বার্ণপুর এয়ারপোর্টের কাছে কুকড়াকুড়ি ঘাটে। টুহুইলার ব্রিজ দিয়ে যায়, ফোর হুইলার ব্রিজে যায় না। টোটো যেতে দেয়। ওই পাড়ে এবং এই পাড়ে দুদিকেই পাকা রাস্তা। বিহারীনাথ মন্দির থেকে ৪ কিমি। এছাড়াও অন্ডাল-দুর্গাপুর-আসানসোল কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থেকে হাইওয়ে ধরে মোট চল্লিশ কিমি। দুর্গাপুর সিটি সেন্টার থেকে তেতাল্লিশ কিমি। আসানসোল স্টেশন থেকে তেইশ কিমি। শালতোড়া শহর থেকে পাঁচ কিমি। আসানসোল কোর্ট থেকে মোটরসাইকেলে আসতে চল্লিশ মিনিট লাগে।

ড. দীপঙ্কর মজুমদার জানান, "আমাদের গবেষণা কেন্দ্রে যে ভাগগুলো আমরা গড়তে চাই তা হলো- সেন্টার ফর এনার্জি স্টাডিজ, সেন্টার ফর অরগ্যানিক ফার্মিং, সেন্টার ফর ম্যাথম্যাটিক্স এডুকেশন, সেন্টার ফর ম্যাথম্যাটিক্যাল মডেলিং, সেন্টার ফর ইনডিজেনিয়াস কালচার, সেন্টার ফর ফোক মিউজিক অ্যান্ড ফোকলোর স্টাডিজ, সেন্টার ফর ক্লাসিক্যাল অ্যান্ড অবসোলিসেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজেস, সেন্টার ফর মিউজিক/ ড্যান্স অ্যান্ড ড্রামা, সেন্টার ফর সায়েন্স/ ফিলোজফি অ্যান্ড হিস্ট্রি ইন্টিগ্রেশন, সেন্টার ফর কমপুটেশনাল মলেকুলার বায়োলজি, সেন্টার ফর মাড টেকনোলজি, স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজ, সেন্টার ফর পপুলারাইজেশন, সেন্টার ফর রিচুয়াল স্টাডিজ (প্যাগানিজম/ আরিয়ান অ্যান্ড আব্রহেমিক/ বেঙ্গল), সেন্টার ফর আফ্রিকানস, সেন্টার ফর আর্কিওলজি অফ বেঙ্গল, সেন্টার ফর ইনডোলজি, সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইত্যাদি। আপাতত সাতটি বিষয় যথাক্রমে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান (শুদ্ধ), বিজ্ঞান (ফলিত), সাহিত‍্য/নৃত‍্য/গীতি, কৃষি ও বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ, মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিসার্চ টুয়ার্ডস ইন্টিগ্রেশন অফ নলেজে ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছে আছে। একটি জার্নালও পুনোরুদ্ধার হবে; বাংলা বিজ্ঞান জার্নাল এবং প্রসিডিঙ্কস অফ দ্য আইআইকে। আমরা কোনো ডিগ্রি দেওয়ার প্রতিষ্ঠান নই। আমরা আশ্রমবাসী হবো।" 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments