বাইশ গজে বাজিমাৎ, মহিলা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ঝুলন গোস্বামী
ঝুলন গোস্বামী একজন সব বিভাগে সফল ক্রিকেটার যিনি ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল, বাংলা মহিলা ক্রিকেট দল এবং এশীয় মহিলা একাদশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। সময়ের সাথে সাথে বাংলা ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের একজন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন তিনি, যেহেতু তাঁর ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতা প্রশ্নাতীত।
ঝুলন গোস্বামী ২০০৭ সালে বর্ষসেরা আইসিসি নারী খেলোয়াড় পুরস্কার লাভ করেন এবং ২০১১ সালে শ্রেষ্ঠ নারী ক্রিকেটার হিসেবে এম এ চিদাম্বরম ট্রফি জিতে নেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে এসেছেন, ঝুলন গোস্বামীর নামের সঙ্গে তার শহরের নামটা কিন্তু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। চাকদহ এক্সপ্রেস, এই নামেই এখন তার বিশ্বব্যাপী পরিচয়।
ভারতের ক্রীড়া প্রেক্ষাপটে নারী খেলোয়াড়রা চিরকালই যেন কিছুটা ম্লান। প্রচারের সবটুকু আলো সফল পুরুষ খেলোয়াড়দের উপর পড়ার পর যেটুকু বাকি থাকে তা তাদের জন্য বরাদ্দ হয়। ব্যতিক্রম বলতে ওই হাতে গোনা কয়েকজন। মণিপুরের মাংতে চুংনেইজাং মেরি কম বা কেরালার পিলাভুলাকান্দি তেক্কেরাপারাম্বিল উষা বা চাকদহের ঝুলন গোস্বামী।
আবারো বাইশ গজে বাজিমাৎ বাংলার মেয়ে ঝুলন গোস্বামীর। মহিলা বিশ্বকাপে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন তিনি। মহিলাদের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে উঠে এলো তাঁর নাম। চলতি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে উইকেট পাওয়ার পর যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন তিনি৷ এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে উইকেট পেয়ে ঝুলন গোস্বামী সকলকে টপকে গেলেন। ম্যাচের ইনিংসের ৩৬ তম ওভারে আনিসা মহম্মদের উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করে ফেললেন ঝুলন গোস্বামী। বিশ্বকাপে এখন তিনি ৪০ টি উইকেট পাওয়া বোলার।
বিশ্বকাপে ৩১ ম্যাচে তিনি ৪০ টি উইকেট নিয়েছেন। বর্তমানে যাঁরা ক্রিকেট খেলছেন সেই বোলারদের তালিকায় ঝুলনের ধারে কাছে কেউ নেই। ঝুলনের পরে সেই তালিকায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান মহিলা ক্রিকেটার মেগান শুট। যিনি বিশ্বকাপে ২৭ টি উইকেট নিয়েছেন। চাকদহ এক্সপ্রেসের এই গৌরবে উচ্ছ্বসিত বাঙালি সমাজ।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment