দৃশ্যদূষণ এড়াতে দেওয়াল লিখন মুছে সচেতনতার বার্তা পুরুলিয়ার নির্দল প্রার্থীর
ভোটগ্রহণ পর্ব মিটতেই দেওয়াল লিখন মোছার কাজ শুরু করলেন পুরুলিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী দোলন ঘোষ। গত সোমবার সকাল থেকে ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় তাঁর সমর্থনে যে সব দেওয়াল লিখন হয়েছিল, কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তা মুছে ফেলার কাজ আরম্ভ করেন তিনি। দৃশ্যদূষণ এড়াতে দেওয়াল লিখন মুছে ব্যানার, ফ্লেক্স, ফেস্টুন খুলে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিলেন তিনি৷ এমনকি ঐ দেওয়ালগুলিতে সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে শিশুদের জন্য নানান কার্টুন চরিত্র ফুটিয়ে তোলারও উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। তাঁর এই অসাধারণ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
পুরুলিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বত্র নির্বাচনী বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে। কোথাও ফ্লেক্স, কোথাও পতাকা, কোথাও ফেস্টুন লাগানো রয়েছে। ভোটপর্ব মিটে গেলেও এসব সরানোর ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক দলগুলোর হেলদোল নেই৷ পরিবেশ দূষণকারী এই উপাদানগুলো না সরালে প্রচণ্ড ক্ষতি হয় ওয়ার্ডের নিকাশি ব্যবস্থার। বেশিরভাগ দলগুলো যেখানে ভোটের ফলাফল নিয়েই ব্যস্ত সেখানে একজন নির্দল প্রার্থী হিসেবে দোলন ঘোষ পাড়ায় পাড়ায় নিকাশি ব্যবস্থা বাঁচানোর জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রায় সব মহলেই তাঁর এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়োচ্ছে।
দোলনবাবু লিটারেসি প্যারাডাইসকে বলেন, "নির্বাচনের প্রচারের জন্য দেওয়াল লিখতে হয়েছিল। ব্যানার, পোস্টার, ফ্লেক্স লাগাতে হয়েছিল। এখন এই বিষয়গুলির প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। তাহলে কেন অযথা দৃশ্যদূষণ হবে। সেজন্যই আমার দেওয়াল লিখন মুছে প্রচারে ব্যবহৃত ফ্লেক্স, ব্যানার খুলে নেওয়ার কাজ শুরু করেছি।"
স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধার্থ মিশ্রের কথায়, "ভোট এলে বিভিন্ন দলের ব্যানার-পতাকায় এলাকা ঢেকে যায়৷ ভোট শেষ হওয়ার পরেই দেখছি, দৃশ্যদূষণ থেকে আমাদের মুক্তি দিতে দোলনবাবু নিজের পতাকা ব্যানার খুলে ফেলার কাজ শুরু করেছেন। তা প্রশংসার দাবি রাখে।"
ঐ ওয়ার্ডের মুনসেফ ডাঙার বাসিন্দা বুবাই চক্রবর্তী বলেন, "ভোটে কে জিতবেন বা কে পরাজিত হবেন সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু দোলনবাবু প্রথম রাউন্ডে তাঁর কাজের মাধ্যমেই যেন সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে দিয়েছেন।"
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment