প্রথম বাঙালি হিসেবে পায়ে হেঁটে লাদাখ পাড়ি দিচ্ছেন সিঙ্গুরের মিলন মাঝি
অ্যাডভেঞ্চারের নেশা বাঙালির রক্তে। বাঙালি কখনো ছুটে গেছে এভারেস্ট ও আন্দিজ, কখনো ছুটে গেছে সাহারার বুকে, কখনো সেন্ট মাসিফ, কখনো তিব্বত। অ্যাডভেঞ্চার বাঙালিকে বারংবার টানে। প্রতিদিন কোনো না কোনো বাঙালি অ্যাডভেঞ্চারের খিদে মেটাতে ছুটে চলেছে কন্যাকুমারী থেকে আসমুদ্র হিমাচল। বেশিরভাগ বাঙালি অভিযাত্রীদের মতোই এবার অ্যাডভেঞ্চারে মনোনিবেশ করলেন হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা মিলন মাঝি। যার লক্ষ্য শুনলে গর্বে বুক ভরে যাবে প্রতিটি বাঙালির।
বাংলা মায়ের দামাল ছেলে মিলন মাঝি পায়ে হেঁটে হাওড়া থেকে রওনা দিয়েছেন লাদাখের উদ্দেশ্যে। যেখানে পৌঁছাতে হলে হাঁটতে হবে মোট ২৫০০ কিলোমিটার পথ। গত ২২ শে ফেব্রুয়ারী হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। রাতের পর রাত, দিনের পর দিন সমস্ত ক্লান্তিকে জয় করে এগোতে হবে তাঁকে। এটাকে কেবল নিছকই অ্যাডভেঞ্চার বললে ভুল হবে, এটা একপ্রকার লড়াই। শরীর ও মন চাঙ্গা থাকলে তবেই এ লড়াই জেতা যায়। বছর ২৬- এর তরুণ মিলন মাঝির আত্মবিশ্বাস এ লড়াই জিতেই বাড়ি ফিরবেন তিনি৷
পিঠে ৩৫ কেজি লাগেজ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁকে নিয়ে তুমুল চর্চা চলছে। রাইডার্স কমিউনিটি অফ বেঙ্গল নামক একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে মিলন মাঝির পায়ে হেঁটে লাদাখ পাড়ি দেওয়ার খবরটি প্রথম ভাইরাল হয়। তারপর বিভিন্ন জায়গাতে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর খবর। তিনি যাতে সফল হয়ে বাড়ি ফেরেন তার জন্য বহু মানুষ প্রার্থনাও করছেন। এই প্রথমবার কোনো বাঙালি যুবক পায়ে হেঁটে লাদাখ পাড়ি দিচ্ছেন। প্রত্যেক বাঙালিই চান সকল বাঙালি সর্বক্ষেত্রেই লড়াই করে জয়ী হোক। এখন থেকেই বহু বাঙালি দিন গুণছেন সেদিনের জন্য যেদিন মিলন মাঝি ভূস্বর্গের পাদদেশে পা রাখবে।
২২ শে ফেব্রুয়ারী অ্যাডভেঞ্চার শুরুর দিন মিলন মাঝি একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তাঁকে নানাভাবে সহযোগিতার দাবী জানিয়েছেন। গত ২৬ শে ফেব্রুয়ারী তিনি অবস্থান করেছেন দুর্গাপুরে। তাঁকে সহযোগিতার জন্য ওনার সাথে ৮৯১০৭৭১৬৪৭ নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment