Header Ads

নেতাজীর নামে চুঁচুড়াতে দেশের প্রথম স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি তৈরি করছে টেকনো ইন্ডিয়া


নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তীতে এ রাজ্যে দেশের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ঘোষণা করেছে বিখ্যাত বাঙালি সংস্থা টেকনো ইন্ডিয়া। ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়টির কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য তাঁদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস জানিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলার খেলাধূলার পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। 


হুগলি জেলার চুঁচুড়াতে ১৫ একর জমির ওপর গড়ে উঠবে নেতাজী সুভাষ ইউথ ইউনিভার্সিটি অফ স্পোর্টস অ্যান্ড অন্ত্রেপ্রেনরশিপ৷ এই প্রজেক্টের পিছনে ব্যয় হচ্ছে ৩০০ কোটি টাকা৷ টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরীর উদ্যোগেই এই অভিনব পরিকল্পনা। বাংলায় প্রযুক্তির অভাবে অনেক প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায়। সঠিক প্রশিক্ষণের অভাবে গ্রাম বাংলা থেকে কোনো প্রতিভা উঠে আসে না। এই সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যেই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় তৈরিতে সংকল্প নিয়েছে টেকনো ইন্ডিয়া। 

বিশ্ববিদ্যালয়টি হতে চলেছে একেবারে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন। স্পোর্টস এডুকেশন এবং কোচিংয়ের ওপর বিশেষ ডিগ্রিও প্রদান করা হবে এখানে, যা বলতে গেলে এদেশে একেবারেই নতুন। এমনকি বিশ্বমানের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফুটবল, ক্রিকেট, টেনিস, ব্যাডমিন্টনের মতো জনপ্রিয় খেলার পাশাপাশি থাকবে হকি, বাস্কেটবল, কাবাডির মতো খেলাও। এছাড়াও ক্রীড়াক্ষেত্রের বিভিন্ন বিভাগে যে সমস্ত খেলোয়াড় উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে আসবে, তাদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংগঠনগুলির সহায়তাও দেওয়া হবে এখানে৷ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দুটো ফুটবল মাঠ থাকবে, একটা ক্রিকেট মাঠ থাকবে, একটা টেনিস কোর্ট এবং বাস্কেটবল কোর্ট থাকবে। ১২ কোর্টের একটা ইন্ডোর স্টেডিয়ামও রাখা হবে। যেখানে ১০০০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। তাছাড়াও থাকছে একটি স্পোর্টস সেন্টার, অত্যাধুনিক কনফারেন্স হল, ফিটনেস সেন্টার ও জিম। অ্যাস্ট্রোটার্ফের একটি গ্রাউন্ডও থাকবে বিশ্বমানের এই স্পোর্টস ইউনিভার্সিটিতে। স্পোর্টসের বৈজ্ঞানিক দিকেও নজর দেওয়া হবে। খেলাধূলা এখন শুধু মাঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বর্তমানে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের ওপরও অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। বৃহৎ এই প্রজেক্টের নীল নকশা ইতিমধ্যেই তৈরি করে ফেলেছে সংস্থাটি। শীঘ্রই পুরোদমে এই প্রজেক্টটির কাজ আরম্ভ হবে। 

আগামী বছর এই স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ৷ সত্যম রায়চৌধুরীর আশা, ভবিষ্যতে বাংলা থেকে একাধিক ক্রীড়াবিদ অলিম্পিকে অংশ নিতে পারবে৷ গ্রাম-বাংলার বহু ছেলেমেয়ের খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments