ওয়াই-ফাই নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট বাগান বানিয়ে তাক লাগাচ্ছেন বর্ধমানের বাসিন্দা
হরেক রকমের গাছগাছালি লাগিয়ে বাগান তৈরির শখ প্রায় সব বাঙালি বাড়ির ছেলেমেয়েদেরই রয়েছে। একটা সুন্দর বাগান গড়ে তুলতে হলে প্রথমে প্রয়োজন পড়ে একটি সঠিক পরিকল্পনার। তারপর সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটিয়ে নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে একটি সুন্দর বাগান গড়ে ওঠে৷ যত দিন যাচ্ছে মানুষ ততই আধুনিক হওয়ার চেষ্টা করছে। এই আধুনিকতার ছাপ এখন পড়ছে বাগানের ওপরও। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজকাল অনেক জায়গাতে দারুণ সব বাগান গড়ে উঠছে। বর্ধমানের সনৎ সিংহ নামে এক জনৈক ব্যক্তি আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগালেন অভিনব পন্থা অবলম্বন করে। তিনি ছাদে ওয়াই-ফাই নিয়ন্ত্রিত 'স্মার্ট' বাগান বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
বর্ধমানের ঝাপানতলায় নিজের বাড়ির ছাদে মরশুমি ফুল ও বিভিন্ন সব্জীর চাষ করেছেন সনৎ বাবু৷ শহরের কৃত্রিমতা ও গুমোট পরিবেশের অত্যাচারে একটু একটু করে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে। শহরের মধ্যে এই সবুজকে রক্ষা করার জন্য যে কজন লড়াই করছেন তাঁদের মধ্যে তিনি অন্যতম৷ তিনি পেশায় বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধমান শাখার আধিকারিক। নিজের বাড়ির ছাদ, সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে তিনি তৈরি করেছেন বাগান। সেখানে চাষ হচ্ছে উচ্ছে, বেগুন, পটল, মুলো-সহ নানা রকমের সব্জী এবং মরশুমি ফুলের।
এ বছর বাগানে তিনি ২০ কিলোগ্রাম আদা, ৩০ কিলোগ্রাম শিম ও প্রচুর আলু ফলিয়েছেন৷ তাঁর বাগানের সব্জীর স্বাদই আলাদা। নিজের বাগানে চাষ করা পুষ্টিকর সব্জী খান তিনি৷ নিজের বাগান থেকে তিনি ও তার পরিবারের সকল সদস্য বছরভর বাগানের সব্জীর ওপর নির্ভরশীল। তাঁর বাগানে সব্জীর ফলন এতোটাই অত্যধিক যে পরিবারের পাশাপাশি পাড়া প্রতিবেশীদেরও তা বিলিয়ে দিতে হয়।
প্রত্যহ তিনি বাগানের যত্ন নেন। ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে মোবাইলে ক্লিক করে গাছে জল দেন তিনি৷ বাগানের নজরদারির জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরা। সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তিনি বাগানটি গড়ে তুলেছেন। তিনি বাগানে কখনো কোনো রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করেন না। প্রাকৃতিক উপায়েই বাগানের পরিচর্যা করেন তিনি৷ জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করে বাগানে চাষ করে থাকেন তিনি৷ জৈবিক পদ্ধতিতে চাষবাসের জন্য তার বাগানের ফলন চোখে পড়ার মতো হয়ে থাকে৷
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment