Header Ads

কলকাতায় কাজ করবেন আর কলকাতার অপমান করবেন, বিস্ফোরক শিলাজিৎ


খোলাখুলি কথা তিনি স্পষ্টভাবে বলতেই ভালোবাসেন। কোনো রকম অন্যায়কে তিনি প্রশ্রয় দিতেও রাজি নন। মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসে তাঁর প্রতিবাদী মুখ। তিনি একদিকে গায়ক অন্যদিকে একজন ভালো অভিনেতাও। যদিও এই প্রতিবাদগুলো সব বাংলা ও বাঙালির ভালোর জন্যই৷ গান গাওয়ার জন্য তাঁকে কখনো কারও তোষামোদ করতে হয়নি৷ কেউ তাঁকে গান গাইতে না ডাকলেও তাঁর এতটুকুও গায়ে লাগেনা। তিনি জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী শিলাজিৎ মজুমদার। 


হঠাৎই বিস্ফোরক হয়ে উঠেছেন গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ মজুমদার। তাঁর দাবি, এক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলায় বসে কাজ করছেন। আবার বাংলার শিল্পীদেরই কটূক্তি করছেন, "কলকাতার আর্টিস্টরা আনপ্রফেশনাল। বসে বসে পয়সা নেয়।" এই ব্যক্তিটি আসলে কে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি। তবে জানিয়েছেন, এক বাঙালি প্রযোজিকা এই স্পর্ধা দেখিয়েছেন। 

তাঁর আরো দাবি, একাধিক বার তাঁর মুখ থেকে এই ধরনের কথা শুনেছেন তিনি। নিঃশব্দে হজম করার চেষ্টা করেছেন। বার বার এই কথাগুলো শুনতে শুনতে তাঁর সহ্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তাই প্রতিবাদে সরব তিনি। 

বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত মাসতিনেক আগে৷ শিলাজিৎ মজুমদার কোনও একটি চরিত্রের জন্য ডাক পেয়েছিলেন। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন লুক টেস্ট দিতে। সেখানেই নাকি তাঁকে তাঁর সাইজের বড় পোশাক পরানো হয়। তিনি সে কথা জানালে সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজিকা কটূক্তি করেন পোশাক কারিগরকে। গায়কের স্পষ্ট বক্তব্য, "তখনই জানতে পারি, ডিজাইনারের কোনও দোষ নেই। ওই প্রযোজিকার হুকুম ছিল, একই পোশাক দুই শিল্পীকে পরাতে হবে। মাপে মিলুক বা না মিলুক! এ ভাবেই তিনি চুরি করেন। দুই মাপের পোশাক থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার না করে। এবং তার জন্য ধার্য দ্বিগুণ অর্থও নেন।" 

তিনি এও জানিয়েছেন, সে দিন তিনি চুপ করে শুনেছিলেন৷ যদিও হজম করতে কষ্ট হয়েছিল। শান্ত হয়ে ভেবেছিলেন, প্রযোজিকা তাঁর ভুল বুঝতে পারবেন। কিন্তু কোথায় কী? এই ধরনের কথা তিনি অনবরত বলেই চলেছেন৷ তাই কেবল প্রতিবাদ জানিয়েই তিনি থেমে যাননি। ফেসবুকে খোলাখুলি হুমকিও দিয়েছেন, "অসভ্যতা কে ক্ষমা বারবার করা যায় না। একবার, দুবার, তিনবার ঠিক আছে। এবার আপনি তৈরি থাকুন আমি আসছি দেবীজি। আপনার অফিস এ আসছি। দেখবেন এবার যেন চমকে উঠবেন না উরি বাবা রে বলে। কলকাতার আর্টিস্টরা আনপ্রফেশনাল??? বসে বসে পয়সা নেয়?? সেদিন যখন এভাবে গোটা বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে অপমান করেছিলেন আপনাকে ক্ষমা করেছিলাম। এবার আর না। your time starts now. আপনি এবার মুম্বাই যাওয়ার টিকিট কাটতে দিন আপনার প্রোডাকশন কে। কলকাতায় কাজ করবেন আর কলকাতার অপমান করবেন। আসছি, আসছি অনেকের সঙ্গে দেখা হবে আপনার।"

সেই প্রযোজিকা তাঁর সাথে ফেসবুকে যুক্তও আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে উচিৎ জবাব দিতে এই মাধ্যমেই তিনি বেছে নিয়েছেন। তাঁর মতো এরকম আরও অনেকেই আছেন বলে দাবি তাঁর। এই প্রতিবাদ নাকি তাঁদের উদ্দেশ্যেও। শিলাজিতের ক্ষোভ, বাংলায় বসে কাজ করবেন৷ বেশি অর্থ দিয়ে মুম্বাই থেকে অভিনেতাদের আনাবেন৷ অথচ বাংলায় একই মানের শিল্পীদের ন্যায্য প্রাপ্য দেবেন না! এই অন্যায় আর বেশিদিন চলতে পারে না৷ এর শেষ হওয়া দরকার।   

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments