গলার শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী কেটে যাওয়া রোগিণীর প্রাণ বাঁচাল পিজি
বাংলার চিকিৎসা জগতে ঘটে গেল এক অভাবনীয় সাফল্য। গলাকাটা এক বধূকে নতুন জীবনদান পিজির৷ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরে। মণি ঘড়াই নামের এক ভদ্রমহিলার গলার শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী দুই-ই কেটে গিয়েছিল। প্রায় মৃত্যুমুখেই ঢলে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ তার অবস্থা এতোটাই আশঙ্কাজনক ছিল যে যে-কোনো সময়েই একটা বিপত্তি ঘটে যেতে পারে।
মণি ঘড়াইকে পৃথিবী থেকে চিরদিনের মতো সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তার স্বামী। তাকে হত্যা করার জন্য তার গলায় ধারালো বটির কোপ বসানো হয়। যার জোরালো আঘাতে তার শ্বাসনালী ও খাদ্যনালী ফালাফালা হয়ে যায়। এমন অসহায় অবস্থাতেই তিনি ছুটে আসেন এসএসকেএম হাসাপাতালের ইন্সটিটিউট অফ অটো রাইনো ল্যারিঙ্গোলজি হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগে। এই মুহূর্তে যা সেন্টার অফ এক্সেলেন্স। যেখানে দেশের তাবড় তাবড় এলাকা থেকে মানুষ আসেন চিকিৎসা পাওয়ার জন্য।
মণি ঘড়াই যখন হাসপাতালে আসেন তখন তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। ঝুলন্ত গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। টানা চার ঘন্টার অস্ত্রোপচারে সফল ভাবে কাটা গলা আগের মতো একই ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়। ডাক্তার অরুণাভ সেনগুপ্তের তত্ত্বাবধানে সম্ভব হয়েছে এই সফল অস্ত্রোপচার। তিনি ইন্সটিটিউট অফ অটো রাইনো ল্যারিঙ্গোলজি হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের ডিরেক্টর। গুরুতর আহত রোগিণীর দ্রুত অস্ত্রোপচারের টিমে ছিলেন ডাক্তার দেবাশিস বর্মন, ডাক্তার সায়ন হাজরা ও ডাক্তার সৌত্রিক কুমার।
বাংলার চিকিৎসা জগতে নজির তৈরি করলো এই অস্ত্রোপচার। আগামীদিনে আরো কঠিন কঠিন সমস্যার সমাধানও যে সহজে হয়ে যাবে তারই ইঙ্গিত প্রদান করলো পিজি৷ অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো বাংলার কোনো এক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। মণি ঘড়াই ফিরে এলেন নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। তিনি নতুন জীবন ফিরে পাওয়ায় জয় হলো মানবতার। জয়ী হলো বাংলার চিকিৎসা ব্যবস্থা।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment