Header Ads

বাংলার রেশম দিয়ে তৈরি হয়েছিল হ্যারি পটারের টাই


'হ্যারি পটার'-এর নাম শোনেননি এমন মানুষ নেই বললেই চলে। বিশ্বের অন্যতম ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি হলো হ্যারি পটার। প্রখ্যাত ইংরেজ সাহিত্যিক জে.কে রাওলিং রচিত হ্যারি পটার সিরিজ থেকে পৃথিবীতে মোট ৮ টি ছবি তৈরি হয়েছে। হ্যারি পটারের সর্বমোট ৭ টি উপন্যাস রয়েছে। বিশ্বের মোট ৮০ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে হ্যারি পটারের উপন্যাসগুলো। জে.কে রাওলিং -এর জীবনে বৃহত্তর সাফল্য এনেছিল হ্যারি পটার৷ যা লিখেই সম্পত্তির দিক থেকে ইংল্যান্ডের মহারানীকেও টেক্কা দেন তিনি।  


ব্লুমসবারি পাবলিশিং নামক এক বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনী থেকে হ্যারি পটার সিরিজ ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ এই সময়ের মধ্যে ধারাবাহিক ভাবে উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয়। হ্যারি পটার প্রকাশের সাথে সাথেই সিরিজটি তুমুল আলোড়ন তৈরি করে। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সাতটি বইয়ের প্রথম ছয়টি বই সারা পৃথিবীতে ৩২৫ মিলিয়ন কপিরও বেশি বিক্রি হয়েছে। বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপার্জনকারী বই হলো হ্যারি পটার। পৃথিবীতে আর কোনো বই-ই হ্যারি পটারের পর এতোটা উপার্জন করতে পারেনি।
 
২০০১ সালে ওয়ার্নার্স ব্রাদার্সের ব্যানারে পরিচালক ক্রিস কলম্বাসের হাত ধরে হ্যারি পটার প্রথম চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়। শোনা যায়, হ্যারি পটার ছবিটি পরিচালনার জন্য স্টিফেন স্পিলবার্গ প্রথম এগিয়ে আসেন। যদিও তিনি বেশ কিছু সমস্যার জন্য ছবির পরিচালনা থেকে সরে আসেন। কেউ কেউ মনে করেন হ্যারি পটার সিরিজের জনপ্রিয়তা স্টিফেন স্পিলবার্গের জনপ্রিয়তাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল বলেই নাকি তিনি হ্যারি পটার ছবির পরিচালনা থেকে সরে আসেন৷ 

সম্প্রতি ২০ বছর পূর্ণ করলো হ্যারি পটার ছবিটি। ২০০১ সালের ১৬ ই নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল 'হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোজফার্স স্টোন'। হ্যারি পটারের কুড়ি বছর অতিক্রম নিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শহরে উৎসবেরও আয়োজন করা হয়৷ 

ছবিটি বেশিরভাগ দর্শকদের আনন্দদান করলেও অনেক দর্শক হতাশ হয়েছেন মূল উপন্যাস থেকে ছবিতে অজস্র পার্থক্য রাখার জন্য। যদিও এই অভিযোগগুলো প্রচণ্ড হাস্যকর। আসলে সব ছবি যে সকলকে সন্তুষ্ট করতে পারবে তার কোনো মানে নেই। হ্যারি পটারের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই হয়েছে। তবে জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ফাঁকফোকর নেই এই সিরিজের। হ্যারি পটারকে নিয়ে আবারো নতুন করে ছবি বানানোর প্রচেষ্টা চলছে হলিউডে। 

হ্যারি পটার ছবির নির্মাণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু অজানা তথ্য। হ্যারি পটার চরিত্রটিকে পরিচালক গবেষণা করে তাকে ঘষে মেজে জীবন্ত করে তোলেন। তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন হ্যারি পটারের পোশাকের ওপর। হ্যারি পটারের পরনে আমরা যে পোশাক দেখেছি তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি পোশাক। হগওয়ার্টসের স্কুলড্রেস, টাই-সোয়েটার আর সাধারণ প্যান্ট-শার্ট। হ্যারি পটারের পরনে যে টাইটি রাখা হয়েছিল, সেই টাইটি ছিল সিল্কের। যে টাইটি সূদুর পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমদানি করা হয়েছিল৷ 

পশ্চিমবঙ্গের রেশম শিল্পের চাহিদা ঠিক কতটা তার উদাহরণ হিসেবে হ্যারি পটারের কথা বলা চলে। হ্যারি পটারের টাই বানানো হয় বাংলার রেশম দিয়ে। যা বাংলার রেশম শিল্পের জগতে এক অভূতপূর্ব সাফল্য ছিল। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে

তথ্যসূত্র- প্রহর ডট ইন
 

No comments