বুর্জ খলিফা কিংবা টাইটানিক, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতে থিম নিয়ে কাউন্টডাউন শুরু
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। কালী পুজো সবেমাত্র শেষ হলো। যার রেশ কাটতে না কাটতেই সামনে এগিয়ে আসছে আরেকটি পুজো। আর কদিন পরই জগদ্ধাত্রী পুজো। সারা রাজ্যজুড়ে ধুমধাম করে আয়োজিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। সারা রাজ্যে এই পুজো হলেও চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য রাজ্যে সেরা। চন্দননগরের পরই যে জায়গার জগদ্ধাত্রী পুজো বিখ্যাত, তা হলো কৃষ্ণনগর। জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে এখানে জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও চমক দেওয়ার জন্য কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। এ বছরের জগদ্ধাত্রী পুজোতে আকর্ষণ একটু বেশিই থাকবে তার কারণ হলো গতবছর অতিমারিতে নামমাত্র পুজো সেরে ফেলা হয়৷
কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতেও চলে থিমের বহর। কে কোন থিমে নজর কাড়তে পারে তার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে চলছে জোর টক্কর। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতে কোথাও মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে বিশ্বের উচ্চতম অট্টালিকা বুর্জ খলিফা। কোথাও আবার ভূস্বর্গ কাশ্মীরের ডাল লেকের হাউসবোট। বড়রাস্তার এপারে সোমনাথ মন্দির আর গুটি কয়েক পা এগিয়ে গেলেই কেদারনাথ। কোথাও আবার মাউসোর প্যালেস উঁকি দিচ্ছে। কোথাও আবার টাইটানিক জাহাজের আবির্ভাব হচ্ছে।
বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, কৃষ্ণনগরের স্বীকৃতি ক্লাবের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে বুর্জ খলিফার আদলে। শক্তিনগর এমএনবি ক্লাব তৈরি করছে মাইসোর প্যালেসের আদলে মণ্ডপ। কৃষ্ণনগর প্রভাত আমেরিকার জৈন মন্দিরের আদলে তৈরি করছে মণ্ডপ। আমিনবাজার বারোয়ারির মণ্ডপ সাজছে কাশ্মীরের হাউসবোটের আদলে। বউবাজার বারোয়ারির থিম সোমনাথ মন্দির। ঘূর্ণি আনন্দনগরের মণ্ডপের থিম চারধাম যাত্রা। সেখানে তৈরি হচ্ছে কেদারনাথ মন্দির। ঘূর্ণি তুফান সংঘে বানানো হচ্ছে টাইটানিক। ঘূর্ণি শিবতলা বারোয়ারির মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে ওড়িশার শিব মন্দিরের আদলে। কৃষ্ণনগর পল্লীশ্রী বারোয়ারির মণ্ডপ সাজছে চট্টগ্রামের আদি শিব মন্দিরের আদলে। এইভাবে কৃষ্ণনগরে প্রায় বিশটির ওপর বড় পুজো উদ্যোক্তারা এবার বিভিন্ন থিম ও সাবেকিয়ানা নিয়ে মেতে উঠেছে।
বেশিরভাগ পুজো কমিটি মণ্ডপগুলির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির দিকে এগোচ্ছে। পুজো যাতে নির্বিঘ্নে করা যায় তার জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের সাথে প্রশাসনের সবরকম আলোচনা চলছে। জগদ্ধাত্রী পুজোতে নানান বিধিনিষেধের কথাও শোনা যাচ্ছে। জগদ্ধাত্রী পুজোর রাতে নাইট কারফিউ জারির কথাও শোনা যাচ্ছে। যার জন্য কিছুটা চিন্তায় উদ্যোক্তারা। তবে তাঁরা এও বিশ্বাস রাখছেন প্রশাসনের তরফে পুজোতে সেরকমভাবে কোনো বাঁধা আসবে না। কারণ পুজো উদ্যোক্তারা সবরকম বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করছে। কিন্তু পুজোর আনন্দে বিধিনিষেধ প্রভাব ফেলবে কিনা আশঙ্কা সেখানেই।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment