Header Ads

কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরীর অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে বাংলা ভাষাকে ব্রাত্য রাখা হয়েছে


১৮৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরী। তখন এই লাইব্রেরীর নাম ছিল ক্যালকাটা পাবলিক লাইব্রেরী। এই লাইব্রেরী তখন ছিল প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের মালিকানাধীন। তখন শুধুমাত্র বাংলা ও ইংরেজি বই রাখা হতো এই লাইব্রেরীতে। যে বইগুলো এই লাইব্রেরীকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী ও পাবলিক লাইব্রেরী সংযুক্ত করে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরী নামে এই লাইব্রেরী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৫৩ সালে এই লাইব্রেরীর নামকরণ করা হয় ন্যাশনাল লাইব্রেরী কলকাতা। 


লক্ষ লক্ষ বাঙালি গবেষক এখান থেকে গবেষণা করেছেন। এই লাইব্রেরীর সাথে বাঙালির রক্ত জড়িত। ১৯১০ সালে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় নিজের সংগ্রহে থাকা ৮০,০০০ বই দান করেন। এইভাবে সমৃদ্ধ হতে হতে বর্তমানে ২২ লক্ষ বই রয়েছে এই গ্রন্থাগারে। বই এর শহর কলকাতার একটি ঐতিহ্য হল কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরী।

বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার হল এটি। বাঙালি ঐতিহাসিক, গবেষক, সাহিত্যিকদের ওঠাবসা রয়েছে এই গ্রন্থাগারে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান নথিপত্র, ম্যাপ, পুস্তক, পত্রিকা,  দলিলপত্র রয়েছে এই লাইব্রেরীতে। এইগুলো বাঙালির সম্পদ। 

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই গ্রন্থাগারের উপর বাঙালির অধিকার যেন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিছু বছর আগে এই গ্রন্থাগার বাংলা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চক্রান্তও করা হয়েছিল। যদিও আপামর বইপ্রেমী বাঙালি তার আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করেছিল।

বর্তমানে এই লাইব্রেরীর অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে বাংলা ভাষাকে ব্রাত্য রাখা হয়েছে। হিন্দি ও ইংরেজি রাখা হয়েছে কিন্তু বাংলার মাটির ভাষা বাংলাই রাখা হয়নি। যার ফলে বাংলাকে অপমানিত করা হয়েছে। এমনকি এই লাইব্রেরীর ওয়েবসাইটেও বাংলা ভাষা রাখা হয়নি।

একদা দ্বারকানাথ ঠাকুরের মালিকানাধীন এই গ্রন্থাগারে বাংলা না রাখাটা বাঙালির জন্য মানহানির এবং এটি সংবিধানবিরোধী-ও বটে। সারা দক্ষিণ ভারত যখন দ্বিভাষা নীতি চালুর জন্য আন্দোলন করছে এই সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলার মাটিতে এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন  না আপামর বাঙালি।

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments