Header Ads

শ্যামবাজারে মাঠে খেলতে গিয়ে আকস্মিক মৃত্যু বাংলার কিশোর ফুটবলারের


খেলার মাঠে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রায়শই ঘটে থাকে। কোনো কোনো খেলোয়াড় ম্যাচ চলাকালীন চোট পেয়ে, আবার কেউ কেউ খেলাধূলা অনুশীলন করতে গিয়ে হঠাৎ করে মারা গেছেন। একজন মানুষকে খেলোয়াড় হতে গেলে হাড়খাটা পরিশ্রম করতে হয়। একজন খেলোয়াড়কে বড় খেলোয়াড় হতে হলে তাকে জন্ম-মৃত্যু পায়ের ভৃত্য করে এগিয়ে যেতে হয়। মাঠে, স্টেডিয়ামে বা বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে খেলোয়াড়দের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য সিপিআর কিট রাখা হয়। সাথে অক্সিজেন সিলিন্ডারেরও ব্যবস্থা রাখা হয়৷ কিন্তু শ্যামবাজার উত্তর প্রান্তিক ক্লাবে সেসব কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে শনিবার সকালে ঘটে গেল এক বিপত্তি।  

   
সুখদেব সাহা নামের এক ১৪ বছর বয়সী কিশোর ফুটবলারের মাঠে খেলতে গিয়ে শনিবার সকালে আকস্মিক ভাবে মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর প্রসঙ্গে অভিযোগ উঠেছে যে শারীরিক ভাবে নাকি সে বেশ কিছুদিন অসুস্থ  ছিল৷ তারপরও সে মাঠে খেলতে নেমেছিল। ওয়ার্মআপ শুরু করার পরই সে মুখ থুবড়ে মাঠে লুটিয়ে পড়ে। ফুটবল কোচিং ক্যাম্পের কোচ, কর্তারা সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠায় তার পরিবারকে। তার বাবা-মা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছালে তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

কোচিং সেন্টারের পরিকাঠামোগত নানান অভিযোগ উড়িয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুখদেবের আগে থেকেই শারীরিক সমস্যা ছিল, সেই কারণেই সে অতিরিক্ত ওয়ার্কলোড নিতে পারেনি। খেলার আগে তার সঙ্গে কোচেরা আলাদা কথাও বলেছিলেন। কোচদের সাথে আলাদা করে কথা বলার সময় সুখদেব জানিয়েছিল যে তার শরীর সম্পূর্ণ ঠিক আছে। তারপর খেলতে নামার পর হঠাৎই সে ব্যালেন্স হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়৷ তারা তার পরিবারকে খবর দেন। পরিবারের লোকেরা ছুটে আসার পর তাকে আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও ততক্ষণে সুখদেবের সমস্ত নিঃশ্বাস ফুরিয়ে আসে।  

সুখদেব সাহার বাড়ি উল্টোডাঙ্গা মোড়ের একটি বস্তিতে। সে স্কটিশ চার্চ স্কুলের একজন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ফুটবলের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল তার। পরিবার ও প্রতিবেশীদের মতে, শারীরিক ভাবে সে অনেক দুর্বল ছিল। প্রায়ই তাকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যেত। হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে ঐ ফুটবলারের আগে থেকেই মৃগী রোগ ছিল।  

কোচিং সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, সে গত দেড় মাস শারীরিক কারণে কোনো ট্রেনিংয়ে যায়নি। মৃত সুখদেবের বাবা গৌতম সাহার মতে, কোচেরা সেদিন তার সাথে আলাদা করে কথা বললেও কোচেদের উচিৎ ছিল সেখানে তার প্রাথমিক চিকিৎসারা ব্যবস্থা করা কিংবা ডাক্তার ডেকে সেখানে তার একবার চেকআপ করে নেওয়া। কিন্তু ক্লাবের কর্মকর্তারা সেসব কিছুই না করে তার কথামতোই তাকে মাঠে নামতে দেন। এ পর্যন্ত কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু  সুখদেব মাটিতে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে যদি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে সে বেঁচে যেত।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments