Header Ads

তাম্রলিপ্ত সেবক সংঘের পুজোর থিমে উঠে আসছে সলিল সন্ধানের ভাবনা


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের অন্যতম পুজো 'তাম্রলিপ্ত সেবক সংঘ'-এর দুর্গাপুজো। চলতি বছরে ষষ্ঠ তম বর্ষে পদার্পণ করলো এই পুজো। বিগত বছরের মতো এবছরও ঘটা করে হতে চলেছে তাম্রলিপ্ত সেবক সংঘের দুর্গাপুজো৷ আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা, তারপর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব  দুর্গাপুজোতে মেতে ওঠার পালা। হাতে সময় কম, তাই জোরকদমে চলছে এই সংঘের পুজোর প্রস্তুতি। মণ্ডপ শিল্পী থেকে মৃৎশিল্পী সকলেই দিনরাত এক করে একমাস ধরে কাজ করে চলেছেন। 


তাম্রলিপ্ত সেবক সংঘের এই বছরের ভাবনা "সলিল সন্ধানে" অর্থাৎ জলের খোঁজে। বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঘটনা ঘটছে। চতুর্দিকে নানান প্রতিকূল পরিস্থিতি মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। তার পুরো দায়ভার মানুষের ওপরও বর্তায়। নগরায়নের নেশায় মনুষ্য সমাজ একের পর এক অরণ্য ধ্বংস করে চলেছে। প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষ যেন প্রত্যহ ছেলেখেলা করে চলেছে। জলের অপর নাম জীবন-- এই ধারণাকেও মানুষ ভুলে যাচ্ছে। নিয়মিত জল অপচয় মানুষের পরিস্থিতি ও পরিবেশ দুটোই নষ্ট করছে। প্রকৃতি আমাদের মা, সেই প্রকৃতিকে নিয়ে মানুষ যতই অবহেলা করুক না কেন, শেষমেশ ঐ প্রকৃতির কাছেই মানুষকে হাত পাততে হয়। প্রকৃতি মায়ের কাছে মানুষের একটাই প্রার্থনা থাকুক যে পৃথিবীতে প্রকৃতির দয়ায় জলস্তর বৃদ্ধি পাক৷ তাই তাদের এ বছরের ভাবনা 'সলিল সন্ধানে'। 


সমগ্র মণ্ডপের রূপায়ন করেছেন অরূপ মাইতি। বাঁশ, দড়ি, মশারি, ভাঁড়, জল, ফাইবার, কুঁজো, কলসি, কাঁচ, বালি, সিমেন্ট ও ইট প্রভৃতি হরেক রকম উপাদান দিয়ে সজ্জিত হচ্ছে পুরো মণ্ডপ। উদ্যোক্তাদের আশ্বাস এ বছরের তাদের পুজোর থিম সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাতেও থাকছে বিশেষ আকর্ষণ। এখানে প্রতিমার এক অন্য রূপকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিমার সব হাতে রয়েছে জলধারণের পাত্র। তিনি ধারণের ধাত্রী রূপে অবতীর্ণা। তিনি ই পরম প্রকৃতি। কুমোরটুলির শিল্পী দীপঙ্কর পালের হাত ধরে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। 

তাম্রলিপ্ত সেবক সংঘের পুজোতে থাকছে থিম সঙ্গীতও। যে থিম সঙ্গীতটি রচনা করেছেন অভিষেক। সুর দিয়েছেন প্রীতম প্রীতম। গানটি গেয়েছেন সুলগ্না ও নির্মাল্য। তাম্রলিপ্ত সেবক সংঘের এ বছরের পুজোর বাজেট প্রায় দশ লক্ষ টাকা। মাত্র ছয় বছরেই এখানকার পুজো মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। এ বছরও লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় জয় করবে এই পুজো। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments