পুজোতে ধামসা মাদলের দেশ তৈরি করেছে রাঙামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব
বাংলা হলো নানান রকম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পীঠস্থান। বাংলার নানান প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানান সংস্কৃতি। বাংলার জঙ্গলমহলের বেশ কিছু জায়গায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করেন। তাদের পৃথক সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। জঙ্গলমহলে মাঝে মধ্যেই গভীর রাতে ভেসে আসে ধামসা ও মাদলের সুর। আদিবাসী মরদ ও মেয়েরা তাদের বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে ধামসা ও মাদলের তালে তালে নৃত্য করে। সাথে তাদের ভাষায় গানও গায়।
এই আদিবাসীদের ধামসা মাদলের কথা উঠে এলো মেদিনীপুরের রাঙামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসবে। এ বছর তাদের থিম 'ধামসা মাদলের দেশে, মা আপন বেশে'৷ মেদিনীপুর শহরের অন্যতম পুজো কমিটিগুলির মধ্যে একটি হলো রাঙামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। বরাবরাই এই কমিটি নিত্যনতুন থিমের মাধ্যমে সবার নজর কাড়ে। চলতি বছরে ৫৩ তম বর্ষে পদার্পণ করছে এই পুজো। মেদিনীপুর শহরের বিগ বাজেট পুজোর তালিকাতেও রয়েছে রাঙামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব।
বাটাম, কাঠ, ফিতে, দড়ি ও থার্মোকল দিয়ে নির্মিত হয়েছে সম্পূর্ণ মণ্ডপ। যার পরতে পরতে রয়েছে আদিবাসীদের লোকশিল্পের ছোঁয়া। আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে সামনে রেখেই মণ্ডপটি নানান কারুকার্যে সেজে উঠেছে। মণ্ডপের পাশাপাশি প্রতিমাও সেজে উঠেছে ভিন্ন সাজে। আদিবাসী রূপে মাকে এখানে সাজানো হয়েছে। রাঙামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসবে দেবী দুর্গা আদিবাসী রূপে আবির্ভূত হতে চলেছেন।
প্রতিমা ও মণ্ডপের পাশাপাশি আলোকসজ্জাতেও থাকছে নতুনত্ব। আট থেকে আশি সবার মন জয় করে নেবে রাঙামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো মণ্ডপ। প্রতি বছরের মতো এবছরও তাঁরা চেনা থিম থেকে বেরিয়ে নতুন কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। মণ্ডপশিল্পী থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী সবার শৈল্পিক স্পর্শে প্রতিমা হোক বা মণ্ডপ সবই নান্দনিক শোভা অর্জন করেছে। এখন লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থীদের প্রশংসার অপেক্ষায় দিন গুণছে এই পুজো।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment