Header Ads

এতবড় দুর্গাপূজা পরিচালনা করা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দক্ষতাকেই প্রমাণ করে বার বার


দুর্গাপূজা বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবে বাংলার সব মানুষের উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো। মিষ্টি দোকান থেকে কাপড় দোকান, ডেকোরেটার্স থেকে প্যান্ডেল-প্রতিমা নির্মাতা এক কথায় প্রায় সব পেশার মানুষের মধ্যে থাকে ব্যস্ততা। সারা বছর ধরেই দুর্গাপূজার জন্য তাকিয়ে থাকে বাংলার প্রতিটি মানুষ।


এই সময় হোটেল থেকে পর্যটনকেন্দ্র প্রায় সবই বুক হয়ে যায়। রাস্তায় ভিড় বাড়তে থাকে। সবাই যখন বিভিন্ন রকমের কেনাকাটা, ভ্রমণে ব্যস্ত থাকে তখন সবচেয়ে জটিল কাজ হয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের। দুষ্কৃতিরাও এই সময় সক্রিয় হবার চেষ্টা করে। সব দিক থেকে রাজ্যের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয় পুলিশকে। 

পূজার এই কটা দিন রাজ্যের হাজার হাজার মণ্ডপ, মানুষের ভিড়, যানবাহন, কেনাকাটার জায়গা, হোটেল, রিসর্ট, পর্যটন কেন্দ্র, বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠানের মঞ্চ সব কিছুকেই নিরাপত্তা দিতে হয়। যেহেতু দুর্গাপূজার মতো এতবড় উৎসব সারা ভারতে বিরল, তাই এক্ষেত্রে নিরাপত্তার ব্যাপারটা থাকে বেশ কঠিন। কিন্তু প্রতি বছর নির্বিঘ্নেই কাটে দুর্গাপূজা যা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দক্ষতাকে প্রমাণ করে। সব মানুষ যখন পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তখন পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ এনারা ব্যস্ত থাকেন সকলের নিরাপত্তায়।

পূজার সময় পুলিশের কাছে জমা পড়ে ইভ টিজিং থেকে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, ছিনতাই এর মতো হাজার অভিযোগ। এই সময় সব পুলিশকর্মীকে প্রায় ২৪ ঘন্টাই কাজ করতে হয়। ট্রাফিক পুলিশের এমন এমন মানুষ আছেন যারা বিগত ত্রিশ বছর দুর্গাপ্রতিমা দেখতে যেতে পাননি পরিবার-পরিজনের সাথে।

উৎসব শেষে আমরা সাধারণ মানুষরা সেভাবে পুলিশের কাজকে স্বীকার করিনা। কিন্তু আমাদের এই সুন্দর সময় থাকার পিছনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূমিকা অস্বীকার করা যায়না।

আমরা সাধারণ মানুষরা যখন সামান্য হেলমেট পরাকেও জটিল কাজ হিসেবে প্রতিপন্ন করে থাকি সেখানে পুলিশের কাজটা কতটা কঠিন তা সহজেই অনুমেয়। রাত-দিন রক্ত জল করে তাদের পরিশ্রম-ই আমাদের মতো সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটায়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই দক্ষতা যথেষ্ট প্রশংসার যেহেতু এতবড় উৎসব পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আর কোনো রাজ্যের পুলিশের নেই।

প্রতিবেদন- অমিত দে


No comments