Header Ads

লন্ডনের লিনিয়ান সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক ডঃ সুমিত মণ্ডল


পৃথিবীর একশো শতাংশ জীববৈচিত্র্যের কথা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। প্রতিনিয়ত কিছু না প্রজাতি তৈরি হচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে বহু প্রজাতির জীবনযাত্রারও পরিবর্তন ঘটছে। এই সবকিছু গবেষণার জন্য ২৩৩ বছর আগে লন্ডনের বুকে নির্মিত হয় লিনিয়ান সোসাইটি। জীববিদ্যার গবেষণার জন্য লিনিয়ান সোসাইটির মতো অসংখ্য সংগঠন রয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। তবে লিনিয়ান সোসাইটি সবচেয়ে প্রাচীন জীববিদ্যা বিষয়ক সংগঠন। সম্প্রতি এ লিনিয়ান সোসাইটিতে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ সুমিত মণ্ডল। 


লিনিয়ান সোসাইটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানান জানা-অজানা ইতিহাস। বিভিন্ন প্রজাতির বিজ্ঞানসম্মত নামকরণের জন্য ট্যাক্সোনমি ব্যবস্থার সূচনায় বিশেষ অবদান রাখেন কার্ল লিনিয়াস। তাঁর নামানুসারেই এই সংগঠনের নামকরণ হয় 'লিনিয়ান সোসাইটি'। চার্লস ডারউইন, থমাস হাক্সলে, এডওয়ার্ড জেনার, জন ফ্র্যাঙ্কলিনের মতো বিজ্ঞানীরা এই সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই তালিকাতে বাঙালি বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম উঠে এলো ডঃ সুমিত মণ্ডলের নাম। যা আমাদের কাছে বাঙালি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের। 

ডঃ সুমিত মণ্ডল দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরবনের প্রাণী নিয়ে গবেষণা করছেন। যার সূত্র ধরে তিনি নিত্যনতুন প্রজাতিরও সন্ধান পেয়ে চলেছেন। মাসখানেক আগে সুন্দরবনে যে নতুন একটি অঙ্গুরিমাল প্রাণী আবিষ্কৃত হয়েছিল, সেই আবিষ্কারটি তিনি ও তাঁর সহকর্মীর হাত ধরেই হয়েছিল। সুন্দরবনের নামেই এই প্রাণীর নামকরণ করে রাখা হয়েছে 'সিগাম্ব্রা সুন্দরবনেনসিস'। অনেক প্রাণীর বেশকিছু অজানা বৈশিষ্ট্য নিয়েও তিনি কাজ করছেন। এই সমস্ত গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এই সম্মান অর্জন করলেন।  

বর্তমানে পরিবেশ দূষণের ফলে বাস্তুতন্ত্রের ওপর আঘাত নেমে আসছে। বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গবেষণায় ভারতের কোনো স্থানের পড়ুয়ারা আগ্রহী নয়৷ তিনি ফেলো নির্বাচিত হওয়ার পরই ঠিক করেছেন এ দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কিত গবেষণার আগ্রহকে বাড়িয়ে তোলা। কারণ বাস্তুতন্ত্রকে বাঁচানোর বিশেষ প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পৃথিবীতে এখন যে ষষ্ঠ গণ-অবলুপ্তি ঘটছে তার প্রথম কারণ বাস্তুতন্ত্র বিনাশ। কাজেই প্রাণী অবলুপ্তি ঠেকাতে বাস্তুতন্ত্র নিয়ে বেশি বেশি করে গবেষণার দরকার। তিনি সে দিকেই নজর দিতে চান। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments