পৌরাণিক গল্প-গাঁথা বাঁশের হস্তশিল্পে উঠে এলো ইছাপুর শিবাজী সংঘের পুজোয়
চোখধাঁধানো নান্দনিক মণ্ডপে হাওড়াবাসীদের নজর কাড়তে প্রস্তুত ইছাপুর শিবাজী সংঘ। দেখতে দেখতে পুজো প্রায় এসেই গেল৷ চতুর্দিকে সাজো সাজো রব। আকাশে-বাতাসে যেন রঙের খেলা চলছে। সেজে উঠেছে শহর থেকে নগর, গ্রাম-গঞ্জ সর্বত্র। কালের নিয়মে বাঙালি সমাজ আবারও শারদোৎসবে মুখর হতে চলেছে। সময়ের স্রোতে ইছাপুর শিবাজী সংঘের পুজোও এগিয়ে চলেছে অর্ধশতাব্দীর প্রায় দোরগোড়ায়।
হাওড়া জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ইছাপুর শিবাজী সংঘ। চলতি বছরে ৪৮ তম বর্ষে পদার্পণ করছে এই পুজো৷ ২০১৭ ও ২০১৮ পরপর দুই বছর পুজো কার্নিভালেও অংশ নিয়েছে এই সংঘ। এ বছর তাদের থিম ভাবনা 'চেনা জিনিস অচেনা পথ'। যে থিমটি সম্পূর্ণরূপে বাঁশের হস্তশিল্পকে ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে। নিত্যনতুন ভাবনার প্রতিফলনে তৈরি হয়েছে পুজোর মণ্ডপ৷
যান্ত্রিক সমাজের অগ্রগতির সাথে সাথে আমরা ভুলতে বসেছি বিভিন্ন প্রাচীন পৌরাণিক গল্প-কাহিনী। এই মণ্ডপের মাধ্যমে তাঁরা মা দুর্গা ও তার সন্তানদের সঙ্গে মা কালীর দশটি রূপ ও বিষ্ণুর দশ অবতার বাঁশের তৈরি বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরছেন। সঙ্গে রয়েছে বাঁশের ঝুপড়ি, ঝুড়ি, কুলো, শীতলপাটি প্রভৃতি দিয়ে তৈরি পুতুলের মডেলে দেবতাদের অসংখ্য সখা ও সখি।
ভারতের পৌরাণিক গল্প-গাঁথা তাঁরা গতানুগতিক পথের বাইরে বেরিয়ে মণ্ডপ পরিকল্পনার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। তাই তাদের থিমের ভাবনা 'চেনা জিনিস, অচেনা পথ।'
মণ্ডপের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে চোখের খিদে। মণ্ডপে পা রাখলে মনে হবে যেন আমরা কোনো এক মায়াবী রূপকথার সাম্রাজ্যে ঢুকে পড়েছি৷ মণ্ডপ শিল্পীদের শৈল্পিক স্পর্শে অন্য রূপ পেয়েছে মণ্ডপ। চমকে থেমে নেই প্রতিমাও৷ কৃষ্ণনগরের শিল্পীদের নিপুণ হাতে তৈরি হওয়া প্রতিমার দর্শনে দর্শনার্থীদের প্রাণ জুড়িয়ে যাবে।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment