Header Ads

টেরাকোটার মন্দির থিম হিসেবে ধরা দিচ্ছে বাবুপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবে


টেরাকোটা বা পোড়ামাটির শিল্প আদিম মানব সভ্যতার শিল্পের প্রতীক। মানবসভ্যতার বিকাশকাল থেকেই পোড়ামাটির ভাস্কর্যের ব্যবহার দেখা যায়। আঠালো মাটির সঙ্গে খড়কুটো, তুষ প্রভৃতি উপাদান মিশিয়ে কাদামাটি প্রস্তুত করে, সেই মাটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নকশা, ফিগার ইত্যাদি আকার দিয়ে রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ালেই তৈরি হয় টেরাকোটা শিল্প। বাংলার এক কিংবদন্তি শিল্প হলো টেরাকোটা শিল্প। বাঁকুড়া জেলা প্রধানত এ শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে প্রচুর পরিমাণে টেরাকোটার মন্দির দেখা যায়। 


বাংলার ঐতিহ্য টেরাকোটার মন্দির এবার থিম হিসেবে ধরা দিচ্ছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের 'বাবুপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসবে'। প্রতি বছরই এই পুজো কমিটি অভিনবত্ব বজায়ের চেষ্টা করে, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। করোনা আবহেও পুজোতে কোনোরকম খামতি রাখতে রাজি নন উদ্যোক্তারা। সমস্ত রকম সুরক্ষাবিধি মেনেই এখানকার পুজোর প্রস্তুতি চলছে। চলতি বছরে ৪৮ তম বর্ষে পদার্পণ করছে এই দুর্গোৎসবটি। 

মণ্ডপ শিল্পীদের নিপুণ হাতে সজ্জিত হচ্ছে মণ্ডপ। মূল দুর্গামণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে টেরাকোটা নাট মন্দিরের আদলে। দুর্গামণ্ডপের পাশে থাকছে শিবের মন্দির। দর্শনার্থীদের কাছে যে বিষয়টি দৃষ্টিপাত করতে চলেছে তা হলো টেরাকোটার মন্দিরে ডাকের প্রতিমা দর্শন। বর্ধমান জেলার বিখ্যাত বনকাপাসি ডাকের সাজে তৈরি হয়েছে প্রতিমা। বাংলার দুই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের মেলবন্ধন ঘটতে চলেছে এই পুজোতে। 

দশকের পর দশক ধরে ডোমকলের প্রাণের পুজো হয়ে উঠেছে বাবুপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব। ডোমকলের প্রাণকেন্দ্র রাজ্য সড়কের পাশেই অবস্থান এই পুজোর। কোভিডের জন্য বহু মানুষ খুব বেশি ভ্রমণ কিংবা তীর্থ করতে যেতে পারছেন না। বাড়ি থেকে বেরিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার উপায় নেই কারও। তাই তাঁরা মুর্শিদাবাদবাসীকে বাঁকুড়ার টেরাকোটা মন্দির দর্শণের আনন্দ দিতে চলেছেন৷ 

উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, করোনার জন্য বাজেট বিগত বছরগুলির তুলনায় একটু কম। তবে পুজোর মেজাজ ও চেনা আনন্দ সবই আগের মতোই থাকবে। পুজোর ৪ দিন তাঁরা দুস্থদের পাত পেড়ে খাওয়াতে চলেছেন। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments