বাঁশ-কাপড়ের অন্যরকম ভাবনার প্রতিফলন কোচবিহার নাট্য সংঘের পুজোতে
পাহাড় থেকে মোহনা দুর্গাপুজোয় মেতেছে বাঙালি সমাজ। থেমে নেই কোচবিহার জেলাও৷ এখানেও জমকালো ভাবে চলছে শারদোৎসব। কোচবিহার জেলার অন্যতম পুজো হলো নাট্য সংঘ দুর্গাপূজা। যে পুজো একটু একটু করে এগিয়ে চলেছে প্রায় শতাব্দীর দোরগোড়ায়। এ বছর নাট্য সংঘের দুর্গাপুজো ৭১ বছর পা রাখছে। প্রতি বছর বিভিন্ন থিম লক্ষ্য করা যায় এই পুজোতে। থিমে নতুনত্ব হলো এই সংঘের পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য।
নাট্য সংঘের এ বছরের থিম "বাঁশ-কাপড়ে অন্যরকম"। বাঁশ, রংবেরঙের কাপড়, মধুবনী পেইন্টিং ও মাটির হাঁড়ি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। যার পরতে পরতে লেগেছে নান্দনিক ছোঁয়া। যেন গড়ে উঠেছে শিল্পের এক মায়াবী শহর। যে মায়াবী শহরে প্রবেশ করলে অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হবে। উদ্যোক্তাদের আশ্বাস মণ্ডপে ফুটে ওঠা শিল্পের টানে কোচবিহারবাসীরা ছুটে আসবেন এখানে। থিমে জাঁকজমকতা থাকলেও প্রতিমা বানানো হয়েছে ডাকের সাজে সাবেকি রূপে।
কোচবিহারের বিখ্যাত শিল্পী সৌমিক ভৌমিকের ভাবনা ও সৃজনে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। করানো আবহেও নিজেদের সামর্থ্যমতো বিধিনিষেধ মেনে তাঁরা থিমের পুজো সম্পন্ন করছে। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আলোকসজ্জা বানানো হয়েছে। আলোকশিল্পী পঙ্কজ মৈত্র তৈরি করেছেন আলোকসজ্জা। প্রতিমা তৈরি করেছেন স্বনামধন্য মৃৎশিল্পী ভাসান পাল ও তাঁর পুত্র বাপী পাল।
কোভিড পরিস্থিতির জন্য এ বছর নাট্য সংঘের পুজোর বাজেট চার লক্ষ টাকা৷ পুজোর পাশাপাশি তাঁরা নানান সামাজিক কর্মসূচীও নিতে চলেছেন। প্রত্যেক বছর তাঁরা পুজোতে রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করে থাকে কিন্তু এ বছর বেশ কিছু সমস্যার জন্য পুজোর পর হতে চলেছে রক্তদান শিবির।
প্রতিবেদন- সুমিত দে
Post a Comment