বাইজু টি-২০ চ্যালেঞ্জে থাকছে না বহিরাজ্যের ক্রিকেটার! সাফল্যের নেপথ্যে বাংলা পক্ষ
আগামী ৭ ই সেপ্টেম্বর থেকে এ রাজ্যে শুরু হতে চলেছে 'বাইজু বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জ। বাংলার বিভিন্ন বয়সের বাছাই করা ১২০ জন প্রতিভাবান ক্রিকেটার অংশগ্রহণ করছেন এই টুর্নামেন্টে। মোট ছয়টি দলে এই টুর্নামেন্টে খেলা হবে৷ কলকাতা হিরোস, কাঞ্চনজঙ্ঘা ওয়ারিয়র্স, খড়্গপুর ব্লাস্টার্স, দুর্গাপুর ডেজলার্স, কৃষ্ণনগর চ্যালেঞ্জার্স ও ব্যারাকপুর ব্যাসার্শ নামের এই টিমগুলো খেলবে এই টুর্নামেন্টে।
বাইজু বেঙ্গল টি-২০ চ্যালেঞ্জে এবার ভিনরাজ্য থেকে আসা কোনও ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হবে না৷ ঠিক এমনটাই জানিয়েছেন সিএবি-র প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। বাংলা ক্রিকেটারদের জন্য এ এক বড়ো সুখবর৷ এই সাফল্যের দাবিদার অবশ্যই 'বাংলা পক্ষ'। যারা না থাকলে এমনটা হয়তো হতো না৷
বাংলা পক্ষ চলতি বছরের শুরু থেকেই যেভাবে লড়াই করেছে তাতে তারা যে সফল হবে এটা জানাই ছিল৷ বাংলা পক্ষ আইনি পথে জয়দীপ দে'র নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ ভাবে বারংবার সিএবি ঘেরাও, সিএবির কর্তাদের বারংবার ডেপুটেশন প্রদান করে নিজেদের আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিল। সিএবিতে বাঙালি খেলোয়াড় নিয়োগের দাবিতে বাংলা পক্ষ ক্রমাগত আওয়াজ তুলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে বাঙালিদের একাংশ বাংলা পক্ষের আন্দোলনকে সমর্থনও জানিয়েছিল।
সিএবিতে আন্দোলন চলাকালীন কয়েকজন বহিরাগত ক্রিকেটার দেবাশিস মজুমদার নামে এক সহযোদ্ধার হাত ভেঙে দিয়েছিল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কৌশিক মাইতি এবং দলের সহযোদ্ধা সুরজিৎ সেনগুপ্ত, বৈশাখী বিশ্বাস ও দেবাশিস মজুমদারের বিরুদ্ধে মহামেডানের কিছু উর্দুভাষী মিথ্যে মামলা করেছিল। তবে কোর্টে লড়ে বাংলা পক্ষ জিতে যায়।
সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বলেন, "আমরা স্থানীয় ক্রিকেটারদের অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েই দলগুলি গঠন করেছি। আমরা চাই আমাদের রাজ্যের খেলোয়াড়রা ভালো খেলে তাঁদের প্রতিভা প্রদর্শন করুক। জেলাগুলির জন্য আগামীদিনে একটি পৃথক টুর্নামেন্ট আমরা করবো।"
বাংলা পক্ষের এই সাফল্যের প্রসঙ্গে হাওড়া বাংলা পক্ষের সম্পাদক জয়দীপ দে লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান, "সিএবির বাংলার ক্রিকেট থেকে বহিরাতগত মুক্ত করার এই প্রচেষ্টা দেখে আমরা খুশি। এটা অনেক আগেই হওয়া উচিৎ ছিল, তাহলে বাংলার অনেক প্রতিভাকে অকালে ময়দান ছাড়তে হতো না। টি-২০ র জন্য নির্বাচিত সকল বাংলার প্লেয়ারদের শুভেচ্ছা। তবে, এটাও জানিয়ে রাখি, ময়দানে বাংলা পক্ষের নজরদারি চলবে।"
পশ্চিম বর্ধমান বাংলা পক্ষের সম্পাদক অক্ষয় বন্দোপাধ্যায় লিটারেসি প্যারাডাইসকে জানান, "বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে খেলবে শুধু বাঙালি। ভিনরাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে যে কজন বাঙালি সুযোগ পায় এই রাজ্যের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনেও ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার তার চেয়ে একজন বেশিও পাবে না, কমও না। ঐ সংখ্যাটা যেহেতু শূন্য তাই এটাও শূন্যই হওয়া উচিত। বাংলা পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি করে আসছে। এটা বাংলা পক্ষের দীর্ঘকালীন আন্দোলনেরই ফল যে বাইজু টি ২০ টুর্নামেন্টে ভিনরাজ্যের ক্রিকেটার না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে যাতে রাজ্যের যে কোন টিম গড়ার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম কার্যকর করা হয় সেটার ওপর নজর রাখবে বাংলা পক্ষ।"
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment