Header Ads

আলিপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণে চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর রাজ্যের


ঢেলে সাজানো হবে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে। সম্পূর্ণ আধুনিকীকরণ করা হবে চিড়িয়াখানাটি। রাজ্যের বন দফতর এ ব্যাপারে চুক্তি সই করলো চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগের চিড়িয়াখানা  কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রাগের চিড়িয়াখানার মতো আধুনিকীকরণ করা হবে আলিপুর চিড়িয়াখানাকে।  


অনেক দিন থেকেই রাজ্য সরকার আলিপুর চিড়িয়াখানাকে নবতম সংযোজনে ঢেলে সাজানোর ভাবনাচিন্তা করছে৷ চলতি মাসে বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো এবং বন্যপ্রাণ বৈচিত্র দেখার পর প্রাগের চিড়িয়াখানার পরিকাঠামো ও বন্যপ্রাণ বৈচিত্র দেখে পছন্দ হয় বন দফতরের কর্তা ও আধিকারিকদের৷ জানা যাচ্ছে, প্রযুক্তিগত সহায়তায় আধুনিকীকরণ নিয়ে প্রস্তাব দেখে রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত মেলার পরেই বন দফতর তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।   

দেশের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন চিড়িয়াখানা হলো আলিপুর চিড়িয়াখানা। যা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয়েছিল। ১৮৭৩ সালে লেফটেন্যান্ট-গভর্নর রিচার্ড টেম্পল কলকাতায় একটি চিড়িয়াখানা স্থাপনের প্রস্তাব দেন৷ ব্রিটিশ সরকার এশিয়াটিক সোসাইটি ও এগ্রি-হর্টিকালচার সোসাইটিকে যৌথভাবে চিড়িয়াখানা স্থাপনের জমি প্রদান করে। ১৮৭৬ সালের ১ লা জানুয়ারি প্রিন্স অফ ওয়েলস সপ্তম এডওয়ার্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে  চিড়িয়াখানাটির উদ্বোধন করেন কলকাতার অভিজাত শহরতলি আলিপুর অঞ্চলে। মোট ৪৬.৫ একর জায়গার ওপর দাঁড়িয়ে আছে এই চিড়িয়াখানা। 

বর্তমানে কলকাতা চিড়িয়াখানায় প্রায় এক হাজার পশুপাখি রয়েছে৷ যার মধ্যে স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে পনেরো রকমের, সাপ আছে কুড়ি রকমের আর পাখি আছে প্রায় ষাট রকমের। প্রতি বছর প্রায় ৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করতে আসেন। কলকাতার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হলো আলিপুর চিড়িয়াখানা। যার বয়স বেড়ে এখন ১৪৫ বছর৷ এতো প্রাচীন চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণ  যথেষ্ট ভাবে প্রয়োজন৷  

আলিপুর চিড়িয়াখানার আধুনিকীকরণের কাজে ব্যয় হবে মোট ৮০ কোটি টাকা। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যেভাবে প্রাগ চিড়িয়াখানাকে আধুনিক করে তোলা হয়েছে, ঠিক একইভাবে আলিপুর চিড়িয়াখানাকেও আধুনিক করে তোলা হবে। তবে প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্যপ্রাণীদের যাতে কোনোরূপ অসুবিধা না হয়, সেই দিকটাও খেয়াল রাখা হবে। বন দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, বন্যপ্রাণী আদান-প্রদান নিয়েও দুই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments