Header Ads

উৎকর্ষতার বিচারে ভারতে ২৯ তম স্থানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, নেপথ্যে ডঃ রঞ্জন চক্রবর্তী


জঙ্গলমহলের গর্বের প্রতিষ্ঠান হলো বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। বহু ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্নপূরণ করেছে এই প্রতিষ্ঠান। জঙ্গলমহলের পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা শুরু হয়৷ ২০২০ সালে ভারতবর্ষের মধ্যে ৩০ তম স্থান দখল করেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। সদ্য প্রাক্তন হওয়া উপাচার্য অধ্যাপক রঞ্জন চক্রবর্তী টানা দশ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অদম্য কর্মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে রাজ্য তথা দেশের মধ্যে একটি উচ্চতর জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। 


বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে রঞ্জনবাবুর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। উপাচার্য হিসেবে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ফলে প্রথমেই বিরাগভাজন হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্তা, অধ্যাপক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীর। মহৎ কাজ করতে গিয়ে তাঁকে বাধাপ্রাপ্তও হতে হয়েছিল। কিন্তু কখনোই তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক অধ্যাপক, কর্মীদের মধ্যে উপাচার্য সম্বন্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ছিল না বা এখনও নেই বললে ভুল হবে। কিন্তু এটা নেহাতই একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। কারণ, দশ বছর সময়টা কোনো কম সময় নয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি যা করেছেন বর্তমান সময়ে খুব কম উপাচার্যই এই কাজ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের চেহারা বদলে ফেলেছেন তিনি৷ ক্যাম্পাসে সবুজায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। আধুনিক যুগের সঙ্গে পাল্লা দিতে ক্যাম্পাসটিকে স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টায় নতুন প্রশাসনিক ভবন, অডিটোরিয়াম ও অতিথি নিবাস তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটিকে সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব টেলিফোন এক্সচেঞ্জ গড়ে তুলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বৃদ্ধির জন্য ডিসট্যান্স এডুকেশনকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি৷ একাধিক হায়ার সেন্টার বানিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রকাশনা বিভাগ তৈরি করেছেন৷ যেখান থেকে বিদ্যাসাগরের রচনাবলীও প্রকাশিত হয়েছে। কমিউনিটি রেডিও সেন্টার গড়ে উঠেছে। তাঁর সময়েই ওয়েদার রিপোর্ট সেন্টারও হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিদিনের তাপমাত্রা থেকে বৃষ্টিপাত- সবই জানা যায়। এমনকি প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গবেষণার ওপরও জোর দেন তিনি। তাদের উৎসাহিত করতেও দেখা গেছে তাঁকে। 

সম্প্রতি ভারতের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে উৎকর্ষতার বিচারে ২৯ তম স্থান দখল করেছে বিদ্যাসাগর  বিশ্ববিদ্যালয়। গত মঙ্গলবার ভারতবর্ষের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎকর্ষতা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সারা ভারতের মধ্যে ২৯ তম স্থানে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি ও গোটা ভারতবর্ষে ৮৭৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে  যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এই অ্যাসেসমেন্টে অংশ নিয়েছিল তার বিচারেই এই তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড়ো অবদান রয়েছে ডঃ রঞ্জন চক্রবর্তীর। তিনি না থাকলে কখনোই এতোবড়ো সাফল্য অর্জন হতো না বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments