Header Ads

নারকেলবাগান মোড়ের সাবওয়ের দেওয়াল সেজে উঠছে বাঙালির গর্বের উপকরণ দিয়ে


বিশ্ব বাংলা গেট কলকাতার এক আশ্চর্য নিদর্শনে পরিণত হয়েছে। কলকাতা উপনগরীর নারকেলবাগান মোড়ে নির্মিত একটি তোরণ হলো এই বিশ্ব বাংলা গেট। যার সঙ্গে রয়েছে একটি ঝুলন্ত রেস্তোরাঁও। গেটের চারটি স্তম্ভ জুড়ে ঝুলে রয়েছে একটি বলয়। কাচ দিয়ে ঘেরা এই বলয়াকৃতি অংশে আছে রেস্তোরাঁ এবং ভিজিটার্স গ্যালারি। যেখান থেকে নিউটাউন ও কলকাতার অনেকটা অংশ দেখা যায়৷ এটি নির্মিত হয়েছে  কলকাতা শহরের প্রবেশদ্বার হিসেবে। এই স্থাপত্যটি কলকাতা শহরের একটি আধুনিক শিল্প নির্মাণের প্রতীক।   


রাজারহাট নিউটাউনের নারকেলবাগান হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মোড়। যাকে লোকে বিশ্ব বাংলা গেট হিসেবেই বেশি চেনে। এখানে রাস্তা পারাপার করা এক দুর্বিসহ ব্যাপার হয়ে উঠেছিল। নিত্যযাত্রী, অফিস যাত্রী ও পর্যটকদের রাস্তা পেরোতে এখানে বেশ সমস্যায় পড়তে হতো। গাড়িঘোড়ার ভিড়ে ঠাসা থাকে এই মোড়। তাই লোকজন ভয়ে ভয়ে রাস্তা পারাপার করতো।   

অফিস যাত্রী ও পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এখানে তৈরি করেছে একটি সাবওয়ে বা ভূগর্ভস্থ পথ। যার মাধ্যমে সহজেই হিডকো ভবনের দিক থেকে সোজা পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে বিশ্ব বাংলা গেটের কাউন্টার অব্দি। এই মাসের শেষে চালু হবে সাবওয়েটি। এবার থেকে আর লোকেদের প্রাণ সঙ্গে নিয়ে রাস্তা পেরোতে হবে না। লোকেরা সাবওয়ে ব্যবহার করেই যাতায়াত করবে।  
 
এই সাবওয়ের দেওয়াল জুড়ে রং-তুলি ও পেইন্টিং-এ  ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে বাংলার ঐতিহ্য ও কৃষ্টি। সাবওয়ের মাঝখান দিয়ে হাঁটার সময় যাত্রীদের চোখ দুপাশের দেওয়ালে আটকে যাবে৷ যাত্রীদের চোখে দেওয়ালের বুকে ধরা পড়বে মা দুর্গা, হাওড়া ব্রিজ থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কিংবা রবীন্দ্রনাথ। বাংলা ও বাঙালির গর্বের সব উপকরণ জুড়ে দেওয়া হচ্ছে দেওয়ালে দেওয়ালে৷ চিত্রশিল্পীরা তাদের ঘাম ঝরিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে শিল্প শৈলীগুলো বানাচ্ছেন। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা



No comments