Header Ads

কবিগুরুর মূর্তির ওপরে জুতোর বিজ্ঞাপন, বাংলা পক্ষের চাপে সরানো হলো বিজ্ঞাপন


শিল্পনগরী দুর্গাপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টার। এই সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডেই করা হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির অবমাননা। গতকাল ছিল ২২ শে শ্রাবণ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০ তম প্রয়াণ দিবস। সকল শহরবাসী ব্যস্ত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস পালনে। এ দিনই রবীন্দ্রনাথকে অপমান করা হলো দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের বাস স্ট্যান্ডে। মূর্তির ওপরে টাঙানো হলো এক নামী ব্র্যান্ডের জুতোর বিজ্ঞাপনের ব্যানার। স্বভাবতই এরকম দৃশ্য দেখে বিরক্ত হয়ে পড়েন শহরবাসীরা। 


বাংলার মাটিতে বাঙালি মহাপুরুষদের অবমাননা কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে চরম থেকে চরমতর প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ওপর জুতোর বিজ্ঞাপনের ব্যানার ঝোলানো একপ্রকার অন্যায়। একে দণ্ডনীয় অপরাধও বলা চলে। 

খবর পেয়ে ছুটে আসে সমসাময়িক বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠা বাংলা ও বাঙালির অধিকারের জাতীয় সংগঠন 'বাংলা পক্ষ'। দৃশ্যটি দেখেই প্রবল বিক্ষোভে সামিল হয় তারা। বাংলা পক্ষের বিক্ষোভের চাপেই কার্যত নড়েচড়ে বসে বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাটি। তড়িঘড়ি তারা বিজ্ঞাপনটি কালো ত্রিপলে ঢেকে দেয়। বাংলা পক্ষ বিষয়টি প্রশাসনকেও জানায়৷ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।


এ দিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান বাংলা পক্ষের দুর্গাপুর শাখার রাজীব ভট্টাচার্য্য, অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় গড়াই, আকাশ পৈতন্ডী, অর্পণ গুঁই সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব। সংগঠনের তরফে দুর্গাপুর (পূর্ব) বিধানসভার সম্পাদক অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আজ ২২ শে শ্রাবণ যেখানে সারা বাংলা বিশ্বকবির তিরোধান দিবস পালন করছে সেখানে খোদ দুর্গাপুরের বুকে কবির প্রতি এ হেন অবমাননা মেনে নেওয়া যায় না৷ বাংলা পক্ষ এর শেষ দেখে ছাড়বে।"

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিজ্ঞাপনটি ঐ স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে এ কাজে সাহায্য করেছেন ডেপুটি মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় এবং এডিডিএ. চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলা পক্ষের জাতীয় সংগ্রাম পরিষদের সদস্য রাজীব ভট্টাচার্য্য। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments