Header Ads

মুর্শিদাবাদ থেকেই বুটিক ব্যবসায় গোটা বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে 'কৈরভী'


বুটিক ব্যবসায় গোটা বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে 'কৈরভী বুটিক'। যার বয়স মাত্র এক বছর। ২০২০ সালের ১৯ শে জুলাই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পথচলা শুরু হয় এই বুটিকের। সোমঋতা চক্রবর্তী ও তার বুটিক পার্টনার রাহুল দত্ত দুজনে মিলে শুরু করেছেন এই বুটিক ব্যবসাটি। ২০২০ সালের জুলাই মাস তখন প্যান্ডেমিকের সময়, চারিদিকে লকডাউন চলছে, এমন পরিস্থিতিতে আটঘাট বেঁধে নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করা সত্যিই এক কঠিন ব্যাপার। কিন্তু তারা এই কঠিন সময়কেও জয় করে নিয়েছেন। 


মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে কৈরভী বুটিকের জন্ম হলেও তার খ্যাতি গুটি গুটি পায়ে ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। সারা বাংলা তথা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তাদের পণ্য ডেলিভারি করা হয়ে থাকে। তাদের পণ্য মুগ্ধ করছে বঙ্গললনাদের মন৷ গুণগত মানসম্পন্ন নতুনত্বে ভরা পণ্য কারও চোখে একবার পড়লেই তিনি অনলাইনে অর্ডার করে কিনে ফেলছেন। যিনি একবার এই বুটিকের পণ্য কিনেছেন তারাই একমাত্র জানেন কৈরভী বুটিকের বিশেষত্ব। কৈরভী বুটিকের প্রেমে যারা একবার হাবুডুবু খাচ্ছেন তারা বারেবারে কৈরভীর কাছেই ফিরে আসছেন। 

কৈরভী বুটিক এক্সপেরিমেন্টাল ভাবেই পোশাকে বাঙালির মন ভরাতে সক্ষম হয়েছে৷ কৈরভীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো বেশিরভাগ পণ্যই তাদের নিজস্ব। তারা কোনো ডিজাইন রিপিট করে না। সবই সিঙ্গেল সিগনেচার পিস কালেকশন থাকে। তারা বিভিন্ন সময় হরেক রকমের জিনিসের ওপর হরেক রকম এক্সপেরিমেন্ট করতে বেশ পছন্দ করে। যখন যেটাতে মনে হয় তখন পোশাকে নতুন কিছু রূপ দিয়ে থাকে তারা। 

সামনেই পুজো। কাজেই কৈরভীর ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। পুজোর বাজার ধরতে নানান এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে তারা। এবার পুজোতে তাদের নতুন ধরণের ডিজাইন আসছে। চেনা অথচ অচেনা সিঙ্গেল পিস। জানা যাচ্ছে, পুজোর পোশাকে তারা বাঙালিয়ানাকে বিশেষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবে। পুজোতে বাংলার বুটিকগুলোতে পোশাক বিক্রির অসম প্রতিযোগিতা চলে। যে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পোশাকের গুণগত মান, ডিজাইন, কালার প্রতিটি বিষয়ে তুখোড় জ্ঞান থাকতে হয়৷ যার পোশাক যত বেশি আকর্ষণীয় হবে তার পোশাক তত বেশি বিক্রি হবে। তাই কৈরভী এখন থেকেই সচেতন হচ্ছে পুজোর বাজার ধরতে।  

কৈরভী যে দিকটিতে সবচেয়ে এগিয়ে তা হলো তাদের ডিজাইন, আর্ট ওয়ার্ক ও ফেব্রিক ক্রেতাদের একরাশ মুগ্ধতায় আবদ্ধ করে। তারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে এক একটা কাজ করে থাকে৷ তাদের জনপ্রিয় পণ্যগুলির মধ্যে অন্যতম হলো ভারতীয় পটচিত্র সমৃদ্ধ পশ্চিমী পোশাক, সুকুমার রায়ের কবিতা লেখা টি-শার্ট, কাপল সেট, ফ্যামিলি সেট, শাড়ী, কুর্তি, পাঞ্জাবি, জামা, কাফতান প্রভৃতি। তাদের সব থেকে বেশি চাহিদাসম্পন্ন পণ্য হলো নিজস্ব ডিজাইন করা wrapper skirt ও টপ এর সেট। তারা ছোট্ট বাচ্চাদের জন্য ধুতি পাঞ্জাবি এবং পাগড়িও নিজেরাই বানিয়েছে। 

ক্রেতাদের মুখে কৈরভী বুটিক সম্পর্কে যে কথা বেশি শোনা যায় তা হলো কৈরভীর পোশাক একাধিকবার ধোয়ার পরেও তার রঙ ও গড়ন থাকে একদম অরিজিনালের মতোই। এখানে পোশাক কিনলে কেউ ঠকেন না। কৈরভীর পণ্য কাউকে হতাশ করেনা বরং তাকে আনন্দে মশগুল করে তোলে৷ কৈরভীর কর্ণধার সোমঋতা চক্রবর্তী ও রাহুল দত্ত সততা ও ডেডিকেশনের সাথে কাজ করে থাকেন৷ কৈরভীকে ঘিরে এই দুই ব্যক্তির বহু স্বপ্ন। মুর্শিদাবাদের বাইরেও অর্থাৎ কলকাতার মতো জায়গায় তারা কৈরভীর স্টোর খুলতে চান। পাশাপাশি দেশের বাইরেও বুটিক ব্যবসা করতে চান তারা। তাদের বিশ্বাস, কৈরভী কোনো একদিন বড়ো ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments