Header Ads

আহত ডেলিভারি বয়ের জীবন ও চাকরি বাঁচিয়ে পুরস্কৃত হলেন মানবিক পুলিশকর্মী সুজয় বিশ্বাস


গত ১৪ ই আগস্ট ঘটে যায় এক ভয়াবহ ঘটনা৷ সন্দীপ রায় নামের এক খাদ্য সরবরাহ সংস্থার ডেলিভারি বয় গুরুতর আহত হন। তিনি সাতসকালে খাবার ডেলিভারি করতে যাওয়ার সময় মাঞ্জা সুতোর ধারে তার গলা ফালাফালা হয়ে যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল সুজয় বিশ্বাস। শুধু তাকে উদ্ধারই নয়, তিনি তার খাবারের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানায় খাবারও পৌঁছে দেন।   


ডেলিভারি বয় সন্দীপ রায়কে সেদিন যদি সঠিক সময়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে না পাঠানো হতো তাহলে তাকে কোনোমতেই বাঁচানো সম্ভব হতো না। সুজয় বাবু দেবদূতের মতো তাকে সাহায্য করেছেন বলেই তিনি বেঁচে বাড়ি ফিরেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দারুণ ভাবে চর্চা চলছে সুজয় বিশ্বাসকে নিয়ে। 

সন্দীপ রায় সুজয় বাবুর এই উপকার কোনোদিনই ভুলতে পারবেন না। তিনি সুজয় বাবুর কাছে চিরকৃতজ্ঞ। তিনি সুজয় বাবুর জন্যই নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন। এর পাশাপাশি চাকরিও ফিরে পেয়েছেন তিনি। গত শনিবার কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল সুজয় বিশ্বাসকে ঐ খাদ্য সরবরাহ সংস্থার তরফে নিমতায় পুরস্কৃত করা হয়৷ এই সম্মান অর্জন করার পর সুজয় বাবুর দু'চোখ জলে ভরে যায়। 

সুজয় বিশ্বাস বলেন, "আমরা তো মানুষের জন্যই সকাল-বিকেল রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে ডিউটি করি। কিন্তু মানুষের অসচেতনতা আজ আমাদের জীবনে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল পুরস্কারের জন্য নয়, বাবা মায়ের শিক্ষাই আমাকে এই কাজগুলো করতে সাহস জোগায়।"

সুজয় বাবুর প্রসঙ্গে সংস্থাটি জানিয়েছে, "আজ সুজয় বিশ্বাসদের মতো মহান মানুষরা আছেন বলেই পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও এই কাজে যোগ দিচ্ছেন। এটাই তো সমাজের কাছে অনেক কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছে।"

সুজয় বাবুর মানবিক আচরণ মুগ্ধ করেছে নেট নাগরিকদের। সুজয় বিশ্বাসদের মতো ব্যক্তিদের কোনো তুলনায় হয়না। মানবিক সত্বা আজও জীবিত রয়েছে এনাদের জন্যই। সুজয় বিশ্বাসকে শতকোটি কুর্নিশ জানাই।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments