Header Ads

ভারতের ইতিহাসে ১০০ বছরে জুলজিক্যাল সার্ভের প্রথম মহিলা পরিচালক হলেন ধৃতি ব্যানার্জি


ভারতের ইতিহাসে ১০০ বছরে জুলজিক্যাল সার্ভের প্রথম মহিলা পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হলেন বঙ্গতনয়া ধৃতি ব্যানার্জি। আগামী সপ্তাহ থেকে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের নতুন দায়িত্ব সামলাবেন৷ ভারতের বিজ্ঞানজগতের এক পরিচিত নাম হলো ধৃতি ব্যানার্জি, যিনি একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। তিনি জু-জিওগ্রাফি, শ্রেণিবিজ্ঞান ও রূপবিজ্ঞান বিষয়ে নিত্যনতুন গবেষণা  চালাচ্ছেন। 


ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বৈজ্ঞানিক জীবন শুরু করেন একজন ডক্টরাল ফেলো হিসেবে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং মানবদেহের উপর এর প্রভাব নিয়ে। তিনি তাঁর মাস্টার্স ও ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য রাষ্ট্রীয় বৃত্তি আর বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক ফেলোশিপে ভূষিত হন। পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের প্রতি তাঁর আগ্রহ তাঁকে জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ে যোগ দিতে এবং আমাদের দেশের বিশাল প্রাণী সম্পদ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করতে পরিচালিত করে। তিনি  প্রচুর দেশ ভ্রমণ করেছেন এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন অভয়ারণ্য এলাকাতে কাজ করেছেন। ভারতের বাস্তুতন্ত্রের প্রাণিক বৈচিত্র্য নিয়েও কাজ করেছেন তিনি। 

বর্তমানে তিনি হিমালয়ে জীববৈচিত্র্যের দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষণ এবং হিমালয়ের প্রাণীজগতের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর বিশেষ আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হলো মাছি নিয়ে অধ্যয়ন করা। তিনি ফরেনসিক তদন্তে মৃত্যুর সময় এবং মরণোত্তর ব্যবধান অনুমান করার জন্য অপরাধ দৃশ্য শনাক্তকারী  হিসাবে সাধারণভাবে পাওয়া মাছির ব্যবহার সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও তিনি মানব অর্থনীতি এবং মানব কল্যাণকে প্রভাবিত করতে পারে এমন মারাত্মক রোগের ভেক্টর নিয়েও অধ্যয়ন করছেন। 

শহুরে এবং গ্রামীণ এলাকায় পরিবেশ সচেতনতা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্যের টেকসই ব্যবহারের জন্য ধৃতি ব্যানার্জি বেশ কয়েকটি প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাঁর প্রধান ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি ছিল সক্ষমতা বৃদ্ধি, সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণ এবং সুরক্ষায় সাধারণ মানুষের ভূমিকা পালন করা। এ বিষয়ে তিনি মোট পনেরোটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্পে কাজ করেছেন। তিনি এবং তাঁর পিএইচডির ছাত্রছাত্রীরা বর্তমানে প্রাণী বৈচিত্র্য, ভেক্টর বৈচিত্র্য এবং ফরেনসিক কীটবিজ্ঞান প্রকল্পের পাশাপাশি ভারতীয় প্রাণী বৈচিত্র্যের ডিজিটালাইজেশনের একটি মাল্টিকোর প্রকল্পে কাজ করছেন।

প্রতিবেদন- সুমিত দে


No comments