হেরিটেজ ভিলেজের তকমা পেতে চলেছে প্রাসাদ ঘেরা গ্রাম ধান্যকুড়িয়া
কলকাতার নিকটবর্তী বাংলার প্রাসাদ ঘেরা এক গ্রাম হলো ধান্যকুড়িয়া। কলকাতা থেকে ৫০ কিমি দূরে বারাসাত যাওয়ার পথে, বেড়াচম্পা ক্রসিং থেকে সাত কিমি পেরোলেই এই গ্রাম। ধান্যকুড়িয়া যেন এক রূপকথার দেশ। প্রাসাদ ঘেরা এই গ্রাম মুগ্ধ করতে পারে ভ্রমণপাগল লোকেদের। টাকি রোডের ধারে অবস্থিত গঞ্জ এলাকা ধান্যকুড়িয়া যে-কোনো পর্যটন কেন্দ্রের থেকে কোনো অংশে কম নয়৷
ধান্যকুড়িয়ার মূল আকর্ষণ হলো গায়েন বাগান বাড়ি, রাস মঞ্চ, মন্ডল বাড়ি, বল্লভ বাড়ি এবং ইংরেজি এল আকৃতির সাহু বাড়ি প্রভৃতি। ইউরোপিয়ান ও ভারতীয় স্থাপত্যের সংমিশ্রণে প্রাসাদগুলো বানানো হয়।
মহানায়ক উত্তম কুমার অভিনীত 'সূর্যতপা'-সহ একাধিক বাংলা ছবির শুটিং হয়েছিল এখানে৷ বাংলার পাশাপাশি ইন্দো-ফরাসি ও হিন্দি ছবিরও শুটিং হয়েছিল এখানে। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের শেষ ছবি 'সত্যান্বেষী'-এরও শুটিং হয়েছিল এখানে৷ এখানকার মহিলা পরিচালিত রাস উৎসবও বেশ জনপ্রিয়।
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধান্যকুড়িয়ার স্থাপত্যগুলো আজ ধ্বংসের মুখে৷ এই স্থাপত্যগুলোর দ্রুত সম্প্রসারণ প্রয়োজন। ধান্যকুড়িয়াকে ঘিরে নজরকাড়া এক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে৷ স্থাপত্যগুলোর নান্দনিক ছোঁয়া এই গ্রামে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের বারেবারে ছুটে আসতে বাধ্য করে৷ কলকাতার কাছে এমন প্রাসাদ ঘেরা গ্রাম খুবই দুর্লভ।
এবার হেরিটেজ গ্রামের তকমা পেতে চলেছে ধান্যকুড়িয়া। আর মাত্র কয়েকটা প্রহরের অপেক্ষা। ইতিমধ্যেই ধান্যকুড়িয়ার জমিদারের 'গায়েন উদ্যান' অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। হেরিটেজ হিসেবে তার আইনি প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গিয়েছে। জমিদারদের গায়েন বাড়ি, বল্লভ বাড়ি, সাহু বাড়ি, মন্দির ও স্কুলগুলোকে হেরিটেজের আওতায় আনা হবে। গত রবিবার ধান্যকুড়িয়ার জমিদার বাড়িগুলি সরজমিনে পরিদর্শনে এসেছিল রাজ্যের হেরিটেজ কমিশনের সম্পূর্ণ বেঞ্চ। ঠিক তখনই একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment