এশিয়ার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক মঞ্চে বঙ্গতনয়া মধুপর্ণা হোড়
সৌন্দর্যে বাঙালি মেয়েদের কোনো তুলনাই হয়না। বাঙালি নারী তার সৌন্দর্যে যেমন ঝড় তুলে রূপোলী পর্দায় তেমনই মিস ইউনিভার্স বা মিস এশিয়াতেও চ্যাম্পিয়ন হয়৷ সম্প্রতি যে বাঙালি মেয়ের খবরে সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চা হচ্ছে তা হলো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় 'এলিক্সার এশিয়া' মঞ্চে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন এক বাঙালি মেয়ে। আগামী নভেম্বরে থাইল্যান্ডে আয়োজিত হতে চলা 'এলিক্সির এশিয়া' সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার দৌড়ে অংশ নেবেন মালদার মেয়ে মধুপর্ণা হোড়৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণপত্রও পৌঁছে গিয়েছে তাঁর বাড়িতে।
ইংরেজবাজার শহরের বাশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মধুপর্ণার ছোট থেকেই বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার শখ ছিল। তিনি সর্বপ্রথম কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই রাজ্যস্তরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রথম হন৷ এরপর দিল্লিতে সর্বভারতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় বিউটি কুইন হয়ে খ্যাতি লাভ করেন। তার বর্তমান লক্ষ্য থাইল্যান্ডে আরো প্রায় ২০ টি দেশ থেকে আসা সুন্দরীদের পিছনে ফেলে শিরোপার মুকুট ছিনিয়ে আনা এবং এতগুলো দেশের মধ্যে বাংলার মালদা জেলাকে চেনানো।
শৈশবেই মডেলিং করার স্বপ্ন ভাসতো তার দু'চোখে। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারে পড়াশোনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। যে কারণে এতদিন ইচ্ছে পূরণ সম্ভব হয়নি তার৷ গত কয়েক বছর পড়াশোনা নিয়েই কেটেছে বছর ২৬-এর মধুপর্ণার। ইংরেজি নিয়ে স্নাতকোত্তর পর্বের পর ব্রিটিশ দূতাবাসের মাধ্যমে অনলাইনেও পড়াশোনা করেছেন তিনি৷ মধুপর্ণার বাবা দিলীপ হোড় একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী ও তার মা সুমনা হোড় ইংরেজবাজার পৌরসভার কাউন্সিলার।
আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ পাওয়ার জন্য তারা মা ও বাবা দুজনেই বেশ আপ্লুত। তার মা ও বাবা মনে করেন, তাঁদের পুরানো ধ্যান-ধারণার জন্যই মেয়ের সাফল্য পেতে এতো দেরি হলো৷ এখন মেয়ের আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্য কামনা করছেন তারা। এখন অপেক্ষা সেই দিনটির, যেদিন থাইল্যান্ডে মধুপর্ণা অংশ নেবে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment