চার বছরের খুদে ইউটিউবার বানিয়ে তাক লাগালেন বাঙালি দম্পতি
বাঙালির বুদ্ধিদীপ্ততা কোনো দিনও থেমে থাকেনি শিশু থেকে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই যুগে যুগে অসাধ্য সাধন করেছেন। বর্তমানেও বাঙালি সেভাবেই এগিয়ে চলেছে। বাঙালি শিশুরাও সারা বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে। শিশুদের নোবেল থেকে বিভিন্ন পুরস্কার জয়, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বা মাত্র ৭ বছর বয়সে বিস্ময়কর অ্যাপ বানানো কিংবা মাত্র ১৩ বছর বয়সে টেকনোলজি কোম্পানি খোলা বা দশ বছর বয়সে মহাকাশ সম্পর্কে বই লেখা এরকম কাজ করে বাঙালি শিশুরা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে তার ক্ষমতা। (বি.দ্র.- এই সবেরই প্রতিবেদন রয়েছে লিটারেসি প্যারাডাইসে)
সুতরাং এটা পরিস্কার যে বাঙালি মা-বাবা যদি তাদের শিশুকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করেন তাহলে বাঙালি শিশুরা বিশ্বকে উপহার দিতে পারে অনেক কিছু। এরকমই একটি উদাহরণ হল বিজয় ঘোষ এবং ওনার স্ত্রী বাসন্তী ঘোষের প্রচেষ্টা। ওনাদের কন্যা মাত্র ৪ বছর বয়সেই শিশু বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল 'মানু বুড়ি' পরিচালনা করছে। এর আগে বাংলা ভাষায় বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে শিশুদের অভিনয় বা গান হয়তো রয়েছে, তবে পুরো চ্যানেলটাই কোনো শিশু পরিচালনা করছে তা সম্ভবত এপার বাংলায় প্রথমবার।
একজন মহিলা শিশুর বেড়ে ওঠা, ভাবনা চিন্তা, চঞ্চলমতি বা সে শাড়ী পরতে শিখছে, গল্প বলছে, মামাবাড়িতে তার ভাবনা এক কথায় শৈশবের বিভিন্ন ঘটনা নিয়েই বিভিন্ন বিষয়ে এই ইউটিউব চ্যানেলে তৈরি হচ্ছে ভিডিও। বড়রাও শৈশব খুঁজে পেতে পারে এই ভিডিওগুলোর মাধ্যমে। চ্যানেলটির নামটিও বেশ মজার 'মানু বুড়ি'।
এই ভিডিওগুলো সঞ্চালনা করছে শিশু ইউটিউবার বিদীপ্তা ঘোষ। বিজয় ঘোষ এবং ওনার স্ত্রী বাসন্তী ঘোষ ও বিজয় ঘোষ পরিচালিত বিজয় ক্রিয়েটিভ স্টুডিওর বিভিন্ন সদস্যদের ভাবনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফল হচ্ছে এই ভিডিওগুলো। ইতিমধ্যেই সুরকার অমিত মিত্র, ইউটিউবার সম্প্রীত দত্ত, দীপেন্দ্র চ্যাটার্জি ও অন্যান্য মানুষ জনের প্রশংসাও পেয়েছে এই কর্মকাণ্ড।
২ মাসের মধ্যেই ৪ লাখ পর্যন্ত কোনো কোনো ভিডিওতে ভিউ এসেছে যা হাসি ফুটিয়েছে বিদীপ্তার বাবা মা ও তার সমস্ত শুভ্যানুধায়ীদের। শ্রীলঙ্কায় ভাইরাল হওয়া একটি মালয়ালম গান 'মানিকে মাগে হিতে'র বাংলায় অনুবাদ বা দুষ্টুমিতে ভরা শাড়ীতে বঙ্গনারীর মতো ভিডিওগুলো যথেষ্ট প্রশংসা পাচ্ছে।
'মানু বুড়ি'র মতো এই ধরণের চ্যানেল গুলো শিশু সম্পর্কিত বাংলা কন্টেন্টের ঘাটতি পুরণেও সহায়ক হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। অন্যান্য ভাষার মতো বাংলাতেও সব ধরণের কন্টেন্ট থাকা প্রয়োজন। আরো অন্যান্য শিশুর বাবা-মাকেও এ ধরণের কাজে অনুপ্রেরণা দিতে সাহায্য করছে বিজয় ঘোষদের প্রচেষ্টা। এভাবে বাংলা ও বাঙালির উন্নয়নে আরো বেশি করে এ ধরণের চ্যানেল তৈরি হোক। মানু বুড়ি চ্যানেলেরও শ্রীবৃদ্ধি হোক, এটাই আমাদের একান্ত কামনা।
প্রতিবেদন- অমিত দে
thank you so much .....
ReplyDelete