Header Ads

২৮ সেকেন্ডে নৃত্যের ৫২ টি হস্তমুদ্রা দেখিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম এক বাঙালি খুদের


বাঙালির ঘরে ঘরে যেন প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে। ছোটো থেকে বড়ো কেউ কোনো অংশে কম যায়না। সোশ্যাল মিডিয়াতে এখন চর্চা হচ্ছে এক বাঙালি খুদেকে নিয়ে। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ইন্ডিয়া বুক রেকর্ডসে নাম উঠে এলো তার। মধ্যমগ্রামের বসুনগরের বাসিন্দা প্রমা পাল স্বল্প সময়ে নৃত্যের ৫২ টি হস্ত মুদ্রা দেখিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের বিচারকদের নজর কেড়েছে। এই অবদানের জন্য  দেশজুড়ে প্রমার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। 


একেবারে ছোটো বয়স থেকেই প্রমার নাচের প্রতি প্রবল আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। যার ফলশ্রুতিতে তাকে নাচের স্কুলে ভর্তি করেছে তার বাবা-মা। তার বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তার মা পেশায় একজন শিক্ষিকা। প্রমার মা লক্ষ্য করেন যে তাদের মেয়ে মাত্র অল্পদিনেই বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছে নাচে। তার মধ্যে বড়ো নৃত্যশিল্পী হওয়ারও সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে৷ সদ্য নাচের স্কুলে ভর্তি হয়েই স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রমা ভারতনাট্যমের ৫২ টি মুদ্রা একসঙ্গে দেখাতে পারছে। যা দেখেই তার মা একটি ভিডিও বানিয়ে পাঠিয়ে দেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে। 

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস প্রথম ভিডিও হাতে পাওয়ার পর প্রমার মাকে মেয়ের জন্য ২০ টি ভিডিও পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়৷ তারপর তিনি মোট ৬০ টি ভিডিও শুট করেন। কেবল ২৮ সেকেন্ডেই ভারতনাট্যমের ৫২ টি হস্তমুদ্রা দেখিয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিলো প্রমা পাল। এই অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন তার নৃত্য শিক্ষিকা রূপা সরকার।   

নাচ ছাড়াও আরো অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে প্রমার মধ্যে। সে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়া এবং ছবি আঁকাতেও সমান পারদর্শী। প্রমার মা তাকে প্রতিদিন সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। আগামীদিনেও তিনি মেয়ের জন্য প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাবেন। প্রমার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মধ্যমগ্রামের বিধায়কও। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পর থেকেই এবার প্রমা প্রস্তুতি নিচ্ছে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডসের জন্য। সেখানেও যে প্রমা দারুণভাবে সফল হবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।  

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments