এলইডি ঘুড়ি তৈরি করে তাক লাগালেন কালীঘাটের দুই তরুণ
স্বপ্ন দেখতে তো আমরা সকলেই ভালোবাসি। কিন্তু স্বপ্নকে সত্যি করতে গেলে লড়তে হয় প্রতিনিয়ত। এলইডি ঘুড়ি বানিয়ে তাক লাগালেন কালীঘাটের দুই তরুণ। যাদের স্বপ্ন নিত্যনতুন ঘুড়ি বানিয়ে দেশ-বিদেশের ঘুড়ি উৎসবে যোগ দেওয়া। স্বপ্নের উৎস সন্ধানে গা ভাসিয়ে একটু একটু করে তারা চালাচ্ছেন সেই প্রস্তুতি। স্বপ্নকে যে-কোনো উপায়ে সত্যি করতে চান তারা।
কালীঘাটের এই দুই তরুণ হলেন সোহম সরকার ও শৌর্য সরকার। সম্পর্কে তারা তুতো ভাই। যারা সদ্য পার করেছেন উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি। ঘুড়ি নিয়ে প্রত্যহ অল্পবিস্তর গবেষণা করে চলেছেন তারা। ঘুড়ি লাইটের সঙ্গেই যেন সংসার পেতেছেন দুই ভাই। তাদের ঘুড়ির প্রতি গভীর ভালোবাসায় উৎসাহ প্রদান করেছেন কাকা সৌমিক সরকার। ঘুড়ি লাইট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণার ফলশ্রুতিতে এলএইডি ঘুড়ি বানিয়ে ফেললেন তারা।
গত সোমবার কলকাতার কালীঘাটের রাতের ঘন কালো আকালে কী যেন একটা জ্বলন্ত বস্তু উড়ে চলেছে। যা মানুষের চোখে পড়ামাত্র কেউই ঠাওর করতে পারেননি আসলে বস্তুটা কী? লোকজনের মুখে মুখে অচেনা জ্বলন্ত বস্তুটি নিয়ে কথাও উঠতে থাকে হঠাৎ করে। জ্বলন্ত বস্তুটিকে দেখে বিস্ময়ে হতবাক হওয়া মানুষজনের উত্তর পাওয়া গেল মঙ্গলবার সকালে। সেদিনের রাতের আকাশে ওড়া জ্বলন্ত বস্তুটি ছিল আসলে একটি এলইডি ঘুড়ি।
সোহম সরকারের মতে, "ঘুড়ির নেশা সেই ছোটোবেলা থেকেই৷ লকডাউনের সময় যখন স্কুল নেই তখন অনলাইন ক্লাস সেরে বাকি সময়টা পুরোটাই কেটেছে ছাদে ঘুড়ি উড়িয়ে। আর এ নেশা এমনই জিনিস যে তাকে নিয়ে নিরন্তর চলেছে গবেষণা।"
গুজরাটে মকর সংক্রান্তিতে এবং বিদেশে বিভিন্ন সময়ে আলো জ্বলা ঘুড়ি তারা লক্ষ্য করেছেন। সেখান থেকেই তাদের মাথায় এলইডি ঘুড়ি বানানোর ভাবনাটা আসে৷ তারপর দীর্ঘদিনের চেষ্টায় তারা বানিয়ে ফেললেন এলইডি ঘুড়ি। সোমবার সন্ধ্যায় তাদের তৈরি এলইডি ঘুড়ি কালীঘাটের রাতের আকাশে চক্কর লাগালো। এদিক থেকে ওদিক ঝিকমিক করে আলো জ্বেলে উড়ে চললো ঘুড়িটি। এই ঘুড়িটি দেখে খুশীর বন্যাতে ভেসে ওঠেন এলাকার মানুষও।
এলইডি ঘুড়ি তো উড়লো কিন্তু তাদের চোখে এখন একটাই নেশা দেশ-বিদেশের ঘুড়ি উৎসবে নিজেদের তৈরি ঘুড়ি হাতে অংশগ্রহণ করা। বর্তমানে তারা প্রার্থনা করছেন করোনা মহামারীর এ দুর্যোগ যেন খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment