Header Ads

'প্রীতিলতা' ছবির পোস্টার হইচই ফেলেছে বাঙালি সমাজে


ওপার বাংলার পরিচালক রাশিদ পলাশ তৈরি করছেন বাংলা ছবি 'প্রীতিলতা'। যার নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন পরীমনি। এই ছবির এক প্রস্থ শুটিং-ও সবে সম্পূর্ণ হয়েছে। সদ্য মুক্তি পেয়েছে এ ছবির একটি পোস্টার। যেখানে প্রীতিলতা রূপী পরীমনিকে দেখা যাচ্ছে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মুখের সাথে পরীমনির প্রীতিলতা রূপী মুখের হুবুহু মিল আছে। দুই বাংলাতেই প্রশাংসা কুড়িয়েছে ছবির পোস্টারটি। 


'প্রীতিলতা' ছবির পোস্টারের অনেকে যেমন প্রশংসাও করেছেন তেমনই পোস্টার নিয়ে নানান তর্ক-বিতর্কও চলছে। ভালো-মন্দ মিলিয়ে দুই বাংলাতে জোর চর্চা চলছে ছবিটিকে নিয়ে। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনকে নিয়ে এর আগে বাংলা ছবি হলেও শুধু প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনী নিয়ে এর আগে আর কোনো ছবি হয়নি৷ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম একজন বীরাঙ্গনা ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। যাঁকে নিয়ে ছবি বানানোর খুবই প্রয়োজন ছিল। 

সোশ্যাল মিডিয়াতে তুমুল চর্চা হচ্ছে ছবিটিকে নিয়ে। নেট নাগরিকরা ঠিক কী কী বলছেন? সোশ্যাল মিডিয়াতে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে, নানা জনে নানা মত পোষণ করছেন ছবিটিকে নিয়ে। 

কেউ বলছেন "ওপার বাংলা তো সাহস দেখালো প্রীতিলতাকে নিয়ে, এপার বাংলা কেন এমন সাহস নিচ্ছে না।" কেউ বলছেন "বিনয়-বাদল-দীনেশ নিয়ে কাজ হচ্ছে, কিন্তু বাকিদের নয়। আজও ক্ষুদিরাম বা অন্যদের নিয়ে কেন যে ভালো একটা সিনেমা হল না"। কেউ বলছেন "প্রীতিলতাকে নিয়ে সিনেমার থেকেও বেশি ভালো হতো ওয়েব সিরিজ হলে। নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজনে রিলিজ হলে।" আবার কেউ বলছেন "মেক আপটা দুর্দান্ত হয়েছে। কিন্তু শুধু মেক আপ করে চেহারা আনলেই কি সব পরিপূর্ণতা পায়? পরীমনির চোখে সেই আগুন নেই, আত্মবিশ্বাস নেই। তার বদলে দেখা যাচ্ছে ভয়, শঙ্কা আর অসহায়ত্ব। কাস্টিং এ শুধু চেহারা না, আত্মবিশ্বাস খুব বড় একটা ব্যাপার। এজন্য এই চরিত্রে জয়া এহসান অনেক বেশি যথাযথ হতো মনে করি"। যদিও পোস্টার দেখে কোনো ছবির অভিনয় কেমন হবে তা যাচাই করা সঠিক নয়৷ তবে নিখুঁত মেক আপ দেখে ছবিটির পিছনে এই ছবির টিমের প্রচণ্ড পরিশ্রম রয়েছে তা বলাইবাহুল্য। বাঙালি হিসেবে আমাদের আশা এ ছবি সবার মন জয় করবে। 

অনেকে বলেছেন "বাংলাতে বাংলা ও বাঙালিকে নিয়ে ইতিহাস নির্ভর সিনেমা আরো বেশি বেশি করে হওয়া উচিৎ। 'প্রীতিলতা' ছবিটির জন্য অপেক্ষা করছি। ছবিটি দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। ছবির পরিচালককে কুর্নিশ জানাই।"  

ফেসবুকে কেউ কেউ এপার বাংলার বাঙালির অবস্থা তুলে ধরে ছবিটি সম্পর্কে বলেন, "বায়োপিক কেন দরকার জানেন, কারণ আমরা বাঙালিরা আত্মবিস্মৃত জাতি, আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবেশ বা আমাদের শাসনব্যবস্থা অনেক বীরগাঁথাকে ভুলিয়ে দেয়, বা জানতে দেয় না। প্রমাণ চান? কাল পারলে শ্যামবাজার বা গড়িয়াহাটের মোড়ে যে-কোনো কাউকে জিজ্ঞেস করবেন যে আপনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কে চেনেন? কেউ কেউ হয়তো বলবেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সম্পর্কে অতোটা জানিনা। ছবির নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানাই এই বীরাঙ্গনাকে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। ভারতে এই ছবির মুক্তির ব্যবস্থা করলে খুশি হবো।" 

সোশ্যাল মিডিয়াতে পজিটিভ ও নেগেটিভ রেসপন্স সব মিলিয়ে ছবিটি নিয়ে কথা হচ্ছে জোরালো ভাবে। কেবল ছবি নিয়ে চর্চা সোশ্যাল মিডিয়াতেই আবদ্ধ নেই, দুই বাংলার চলচ্চিত্র সমলোচকরাও ইউটিউবে ছবির পোস্টার সম্পর্কে নিজেদের মতামত পোষণ করে বিভিন্ন ভিডিও পর্যন্ত তৈরি করেছেন। যা বাংলা ছবির জন্য যথেষ্ট আনন্দের। সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব এই দুইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে নানা জনের নানান মতামত বিবেচনা করে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলা ছবির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments