কলকাতায় গাছেদের জন্য চালু হলো 'ট্রি অ্যাম্বুলেন্স'
২০২০ সালে আমফানের ফলে কলকাতার উপকণ্ঠে বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর গাছ নষ্ট হয়ে যায়। ইয়াসেও প্রচুর গাছ উপড়ে গেছে। যার ফলে শহরের দূষণের মাত্রা বেশ বৃদ্ধি পায়। এই দূষণ রোধে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। কলকাতায় দূষণ রোধ করতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণ বৃক্ষরোপণ। তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসন থেকে শুরু করে বেশ কিছু পরিবেশ সংগঠন নানান বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিচ্ছে।
অনেক সময় দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো হলেও পরিচর্যা ও যত্নের অভাবে গাছগুলো সহজে বড় হতে পারে না। অতএব কেবল গাছ লাগালেই হবেনা তার সঠিক পরিচর্যা ও যত্নেরও প্রয়োজন। কলকাতায় গাছ পরিচর্যা এবং সংরক্ষণের জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হলো 'ট্রি অ্যাম্বুলেন্স'। বন মহোৎসব সপ্তাহ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে চালু করা হয়েছে ট্রি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। ২০১৯ সালে এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল চেন্নাই শহরে। তারপর পাঞ্জাব ও পুদুচেরিতেও চালু করা হয় ট্রি অ্যাম্বুলেন্স।
অসুস্থ মানুষকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অসুস্থ পোষ্যদেরও নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা আছে। আর এবার গাছেদের চিকিৎসার জন্য গাছেদেরও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করা হলো। রাস্তার ধারে হোক বা পার্কে কিংবা জলাশয়ের ধারে উপড়ে যাওয়া বৃক্ষদের স্থানান্তরিত করে নতুনভাবে রোপণ করবে এই অ্যাম্বুলেন্স।
বন দফতর জানাচ্ছে, "ট্রি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে অসুস্থ গাছের পরিচর্যা, গাছেদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরের কাজ হবে। ঝড়-বাদলে মাটি থেকে উপড়ে যাওয়া গাছকে যথাস্থানে রোপণ এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা অত্যন্ত কার্যকরী হবে। এছাড়াও চারা গাছ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পৌঁছে দেওয়া, বৃক্ষরোপণের গতি বাড়াতেও এই অ্যাম্বুলেন্স কাজে লাগবে। আবার এই অ্যাম্বুলেন্সেই বিশেষজ্ঞরা বৃক্ষপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে যাবে।"
গাছেদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞের একটি টিম সর্বদা উপস্থিত থাকবেন এই অ্যাম্বুলেন্সে। যাঁদের মূল কাজ হবে গাছের গায়ে আটকানো বিভিন্ন ফেস্টুন, লিফলেট, পেরেক ইত্যাদি খুলে ফেলা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পোকা আক্রান্ত গাছগুলোর পরিচর্যা করা৷ অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে সার, স্প্রে ও গাছের ওষুধও রাখা থাকবে। অর্থের বিনিময়ে সাধারণ মানুষ সেগুলো ক্রয়ও করতে পারবেন। নানান প্রজাতির চারাগাছও মিলবে এই অ্যাম্বুলেন্স থেকে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment