অলিম্পিকে জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গেল বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েকের
বহু কষ্টে দারিদ্র্যতার সঙ্গে সংগ্রাম করে অলিম্পিকে খেলার জন্য নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন ঝাড়গ্রামের মেয়ে প্রণতি নায়েক। আজ সকালেই তিনি খেলতে নামলেন। তাঁকে ঘিরে বাঙালির প্রত্যাশা ছিল যথেষ্ট। কিন্তু সেই আশা আর পূর্ণ হলো না। ফাইনালে রাউন্ডে ওঠার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হলেন তিনি। যোগ্যতা অর্জন পর্বের শেষে তিনি দ্বাদশ স্থান দখল করেন।
রবিবার সকালে মহিলাদের আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকসের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নেমেছিলেন প্রণতি নায়েক। সেখানে অলরাউন্ড পর্বে তাঁর স্কোর ছিল ৪২.৫৬৫। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়েছেন ভল্টে (১৩.৪৬৬)। এ ছাড়া ফ্লোরে ১০.৬৩৩, আনইভেন বারে ৯.০৩৩ এবং ব্যালান্স বিমে ৯.৪৩৩ পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করলেও অনুশীলনের জন্য তাঁর হাতে একেবারেই সময় ছিলনা। তাছাড়াও করোনাকালে তিনি এতটুকু অনুশীলন করার সুযোগ পাননি৷ নিজেকে ফিট রাখার জন্য নানান কসরত করতেন তিনি ঠিকই কিন্তু জিমনাস্টিকের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি তিনি। মহাদেশীয় কোটার মাধ্যমে টোকিও অলিম্পিকের টিকিট পাকা করলেন জিমন্যাস্ট প্রণতি নায়েক। এশিয়া কোটার বিচারে শ্রীলঙ্কার এলপিতিয়া বাদালগের পিছনে রয়েছেন তিনি।
ঝাড়গ্রামের এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে প্রণতি নায়েক। তাঁর বাবা সুমন্ত নায়েক একজন বাস ড্রাইভার। বেশ কষ্ট করেই চলে তাঁদের সংসার। ছোটোবেলা থেকেই দারিদ্র্য তাঁর নিত্যসঙ্গী।
২০১৯ সালে এশিয়ান আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভল্ট ডিসিপ্লিনে ব্রোঞ্জ জিতে নেন তিনি। চলতি বছরের ২৯ শে মে চিনের হ্যাংঝৌতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সিনিয়র এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের। কিন্তু কোভিডের জন্য তা বাতিল হয়ে যায়। যার কারণে তিনি কন্টিনেন্টাল কোটা থেকে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেন।
অলিম্পিকের ফাইনালে পৌঁছাতে না পেরে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়লেন প্রণতি নায়েক। তবে আশা ছাড়তে রাজী নন তিনি। পরবর্তী অলিম্পিকে আবারো ভালো ফলের আশায় দিন গুণতে হবে তাঁকে। সামনে এখন প্রচণ্ড স্ট্র্যাগেল করতে হবে তাঁকে। যাইহোক তাঁকে এখন পরবর্তী লক্ষ্যের জন্য তৈরি হতে হবে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
আশাকরি আমাদের সরকার ক্রিকেটের পাশাপাশি অন্যখেলাতেও মন যোগ দেবেন। শুধু খেলা হবে বলে চেঁচামেচি না করে খেলোয়াড়দের যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন।
ReplyDelete