চন্দননগরে পর্যটন হাব গড়ে তুলতে ফ্রান্সের সঙ্গে মউ চুক্তি রাজ্যের
ঐতিহ্যবাহী শহর হলো হুগলির চন্দননগর। ফরাসি সাম্রাজ্যের অন্যতম উপনিবেশ ছিল চন্দননগর। ব্রিটিশ শাসনেও ফরাসিদের দখলে ছিল চন্দননগর। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গোপন ডেরা ছিল এই চন্দননগরে। আলোকসজ্জার জন্যও বিখ্যাত চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যও চন্দননগরের খ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে। চন্দননগর নামটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফরাসডাঙ্গার নামও। চন্দননগরের প্রত্যেক প্রান্তে চোখ রাখলেই ফরাসি স্থাপত্যের নিদর্শন লক্ষ্য করা যায়। ইতিহাসপাগল মানুষদের কাছে চন্দননগর এক টুকরো স্বর্গ।
চন্দননগরের বুকে ফরাসি সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি হবে ট্যুরিজম হাব। যার জন্য গত বৃহস্পতিবার মউ স্বাক্ষর করলো রাজ্যের পর্যটন দপ্তর ও ফ্রান্স সরকার। চন্দননগর শহরজুড়ে ফরাসি স্থাপত্যপূর্ণ মোট ৯৯ টি প্রাচীন বিল্ডিং রয়েছে। যেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করে নতুন পর্যটন হাব গড়ে তোলা হবে। হেরিটেজ ট্যুরিজম ও কালচার ট্যুরিজমের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে চন্দননগরে। ফরাসি সরকার চন্দননগরকে নিজেদের মতো সাজিয়ে তুলবে৷ যা সম্পূর্ণ হলে ফ্রান্সের পর্যটকরাও এ শহরে ভিড় জমাবেন। ফরাসি পর্যটকরা ভিড় জমাতে থাকলে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে জোয়ার আসবে।
চন্দননগরের হেরিটেজ ভবন হিসেবে পরিচিত রেজিস্ট্রি বিল্ডিংটিও সংস্কার করা হবে। হেরিটেজ সাক্ষ্য ধরে রেখে তাকে একটি 'বুটিক' হোটেলে পরিণত করবে সরকার৷ ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। এই প্রকল্পের সমস্ত খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। প্রযুক্তিগত ভাবে কেবল সহায়তা করবে ফরাসি সরকার। ২০১৯ সালে এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও ফ্রান্সের মউ স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য তা সম্ভব হয়নি। তাই এবার দুই পক্ষ জোরকদমে প্রজেক্টের কাজে নেমে পড়েছে।
হুগলি নদীর পার্শ্ববর্তী নানান এলাকা ঘুরে দেখানোর জন্য গঙ্গাবক্ষে পর্যটনেও প্রস্তুতি চালাচ্ছে রাজ্য পর্যটন দপ্তর। কয়েকমাস আগে চন্দননগরে হুগলি নদীর বক্ষে ভাসমান রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা হয়। এমনকি বর্তমানে চন্দননগর থেকে কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক পর্যন্ত হেরিটেজ ক্রুজ নামে একটি বিশেষ ক্রুজের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা
Post a Comment