Header Ads

কাতারের আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে পাঠানো হচ্ছে মালদার আম


স্বাদে ও গন্ধে বাংলার বিখ্যাত আম হলো মালদার আম। প্রত্যেক বাঙালির কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি ফল হলো আম। বর্তমান সময়ে আম চাষে মালদা পথ দেখাচ্ছে গোটা বাংলাকে। বাংলার আমের বৈচিত্র্য সারা ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ভারতের অন্যান্য যে কোনো জায়গার আমের তুলনায় মালদার আম ভীষণ সুস্বাদু। এখানে বেশ কিছু প্রকৃতির আম পাওয়া যায়, যেমন- লক্ষণভোগ, ল্যাঙড়া, ফজলি, হিমসাগর; যা ভারতের অন্য কোনো জায়গায় পাওয়া যায় না। মালদা জেলায় উৎপাদিত বাংলার নিজস্ব জাতের আম হলো লক্ষণভোগ আম, ফজলি আম ও হিমসাগর আম। এই তিন প্রকার আমে রয়েছে জিআই বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন ট্যাগ।


বিদেশের বাজারে মালদার আমের পরিচিতি বৃদ্ধি করতে আম রপ্তানিতে জোর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চলতি মরশুমে বিশ্বের একাধিক দেশে মালদার আম পাঠানো আরম্ভ হয়েছে। প্রধানত ইউরোপের দেশগুলিতে আম পাঠানো আরম্ভ হয়েছে। মালদার আমের পরিচিতি বাড়াতে বিদেশে একটি প্রদর্শনীতে অংশ নিতে চলেছে মালদার আম। কাতারে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনীতে পাঠানো হচ্ছে মালদার আম৷ প্রত্যেক বছর কাতারে আন্তর্জাতিক স্তরের আমের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে। ভারতের অন্য রাজ্যের আম সেখানে পাঠানো হলেও এখনও পর্যন্ত মালদার আম পাঠানো হয়নি। তাই এই প্রথমবার মালদার আম পা রাখতে চলেছে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে।  

বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজ্যের ম্যাঙ্গো এক্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কাতারে পাঠানো হবে মালদার আম। প্রতিটি প্রজাতির ২০০ কেজি করে আম কাতারের ঐ প্রদর্শনীতে যাবে। প্রদর্শনী ছাড়াও কাতারের বাজারেও বিক্রয় করা হবে মালদার আম। ঠিকভাবে কাতারে মালদার আম পৌঁছাতে পারলেই খুব সহজেই আন্তর্জাতিক বাজার ধরে ফেলতে সক্ষম হবে মালদার আম। একবার মালদার আম আন্তর্জাতিক বাজারে রাজত্ব শুরু করতে পারলেই মালদায় আম চাষে খুলে যাবে নতুন দিগন্ত। যার ফলে লাভবান হবেন বাংলার আম চাষী থেকে আম ব্যবসায়ীরা।

বাংলার কয়েকজন এক্সপোর্ট ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানাচ্ছেন যে, "করোনা পরিস্থিতিতে কাতারে আম এক্সপোর্টের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও তৈরি হয়েছে। মালবাহী আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ কম পরিমাণে চলাচল করছে। স্বভাবতই বুকিং এর পরেও মাল রাখার জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।" 

প্রতিবেদন- নিজস্ব সংবাদদাতা


No comments