Header Ads

চার ঘন্টায় ১০০ টি নজরুল গীতি গেয়ে বিশ্বরেকর্ড করলেন ত্রিপুরার দীপা দাস


চার ঘন্টায় ১০০ টি নজরুল গীতি গেয়ে বিশ্বরেকর্ড করলেন এক বাঙালি মহিলা। কী অবাক হলেন নাকি? অবাক হবারই কথা, কারণ এতগুলো নজরুল গীতি একটানা গাওয়া মোটেও সহজসাধ্য ব্যাপার নয়। অথচ ইনি সুরেলা কণ্ঠে নির্ভুল ভাবে প্রতিটি গান গেয়েছেন। ইনি হলেন সঙ্গীত শিল্পী দীপা দাস।


গত ৪ ঠা জুলাই Nena tv এর পর্দায় লাইভ অনুষ্ঠানে দুঃসাহসের সঙ্গে চার ঘন্টায় ১০০ টি নজরুল গীতি গাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ যেমন ভাবনা তেমন কাজ। তিনি একেবারে অনায়াসে গেয়ে ফেলেন ১০০ টি নজরুল গীতি। তাও আবার নজরুল সঙ্গীত সংগ্রহ বইটির নির্ধারিত পৃষ্ঠা ক্রমানুসারে গান গেয়েছেন তিনি৷ এরকম গানে বিশ্বরেকর্ড এর আগে কখনো দেখা যায়নি৷ 

সঙ্গীতশিল্পী দীপা দাস হলেন  নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক। তাঁর জন্ম ত্রিপুরার  আগরতলাতে। তাঁর পিতা হলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব কিরণ চন্দ্র  দে ও মাতা হলেন গৌরী দে। সংস্কৃতিপূর্ণ পরিবারেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটো বেলা থেকেই সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। সঙ্গীতে উচ্চ শিক্ষার জন্য রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে পড়তে আসেন তিনি।  ন্যাশনাল স্কলার CCRT, আকাশ বাণী ও দূরদর্শন শিল্পী, রেডিও তে শিশুমেলা, যুববাণী, জেনারেল উত্তীর্ণ, বিভিন্ন ভাষায় ও বিভিন্ন দেশে সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন তিনি।

সঙ্গীত শিল্পী দীপা দাস দেখিয়ে দিলেন যে বাংলা গান গেয়েও বিশ্বরেকর্ড করা যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, তিনি এতোবড়ো রেকর্ড তৈরি করার পরও কোনো টিভি চ্যানেল ও মিডিয়া তাঁকে নিয়ে   খবর করেনি। তাঁর এই বিশ্বরেকর্ডের কথা সকল বাঙালির জানা উচিৎ। তিনি চার ঘন্টায় ১০০ টি নজরুল গীতি গেয়ে বিশ্বরেকর্ড করে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে যে সম্মান প্রদর্শন করলেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি এই বিশ্বরেকর্ডের মাধ্যমে ত্রিপুরা তথা গোটা বিশ্বের বাঙালি সমাজকে গর্বিত করলেন। 

প্রতিবেদন- সুমিত দে


2 comments:

  1. নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ও নজরুল গবেষক দীপা দাস- ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার গর্বিত কৃতি সন্তান- তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি একই আসরে চার ঘন্টা লাগাতার নজরুলের ১০০টি গান পরিবেশন করার জন্য, অসম্ভবকে সম্ভব- বিশ্ব রেকর্ড। শ্রদ্ধাঞ্ঝলি নিবেদন করছি তাঁর পিতা নাট্য ব্যক্তিত্ব কিরণ চন্দ্র দে এবং মাতা গৌরী দে সমীপে।

    ReplyDelete
  2. দীপা দাসকে অসংখ্য শুভেচ্ছা

    ReplyDelete